Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু করা জরুরি

নরওয়ে রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

নরওয়েতে প্রায় চার মাস পিতৃত্বকালীন ছুটি রয়েছে। এতে পুরুষ পরিবারের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হয়ে উঠে। এজন্য বাংলাদেশেও পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু করা জরুরি বলে মনে করেন ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল বে্লকেন।

গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর লা-মেরিডিয়ান হোটেলে উইমেন ইন লিডারশিপ (উইল) আয়োজিত চতুর্থ উইেমন লিডারশিপ সামিটে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের সামিটের মূল প্রতিপাদ্য ‘নারীর কর্তৃত্ব ও দৃশ্যমানতা অর্জনে সৃজনশীল নেতৃত্ব ও বৈচিত্র্যতা’।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর সম্পৃক্ততা বাড়াতে পুরুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সন্তান লালন থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজে নারীর পাশে থাকতে হবে। এজন্য পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু করাও জরুরি। শিক্ষাই নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রধান মাধ্যম। শিক্ষা নারীদের কর্মমুখী হতে শেখায়।
নদীপাড়ে উচ্ছেদ অভিযানে সরকারকে বাপার অভিনন্দন
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা নগরীর আশপাশ ঘিরে বহমান বুড়িগঙ্গাসহ নদীগুলোর পাড় থেকে দখলদারদের উচ্ছেদে চলমান অভিযানের জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নেতারা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার পাড় পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এ অভিনন্দন জানান। বাপার প্রতিনিধিদল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রা করে বসিলা খেয়াঘাট (ব্রিজের নিচে) পর্যন্ত তাদের পরিদর্শন কার্যক্রম চালায়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাপার সহ-সভাপতি ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আমরা পরিবেশবাদীরা বহুদিন ধরে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরীসহ নদীগুলোকে দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত রাখতে আন্দোলন করে আসছি। সরকার এর আগেও (দখলদার উচ্ছেদে) দু’একবার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু কোনো উদ্যোগই সফলভাবে পরিচালিত হয়নি। অল্প কিছুদূর গিয়েই থমকে গেছে। কারণ নদী দখল ও দূষণের সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত। এবার যে অভিযান চলছে, এটা আমরা সমর্থন করি। এই উদ্যোগের জন্য সরকারকে আমরা অভিনন্দন জানাই।
পরিদর্শন কার্যক্রম তুলে ধরে বাপার এই নেতা বলেন, সদরঘাট থেকে বসিলা পর্যন্ত এসে আমরা দেখলাম, বেশ কিছু অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।কিন্তু তারপরও দেখেছি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের চাপে অথবা অজ্ঞাত কারণে কোনো কোনো জায়গায় সরকার কম্পোমাইজ করছে, আপসমূলক ব্যবহার করছে। এমন যেন না হয়। আমরা চাই অভিযান একদম সাফল্যমণ্ডিত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এবং এই নদীকে রক্ষা করতে হবে। যারা এ ধরনের বেআইনি দখলদারি করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান আবুল মকসুদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, যুগ্ম-সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু করা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ