Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘বুড়িগঙ্গায় উচ্ছেদে আপস করা হয়েছে’

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বাপা’র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট লেখক, বুদ্ধিজীবী সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, বুড়িগঙ্গায় অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গার ক্ষেত্রে কোন কোন জায়গায় দখলদারদের সাথে আপোস করা হয়েছে। তবে আমাদের দাবি যথাযথ পন্থায় সঠিক আইন মেনে ছোট-বড় না দেখে নদীর জায়গা দ্রুত নদীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। গতকাল বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র এক প্রতিনিধি দল বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় ও সরকারের গৃহিত নদীর দু’পাড়ের উচ্ছেদ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
আবুল মকসুদ বলেন, নদীকে দখল ও দূষণ মুক্ত করতে সরকার অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদের যে অভিযান পরিচালনা করছেন তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। তবে সরেজমিনে পরিদর্শনে আমাদের কাছে মনে হয়েছে উচ্ছেদের ক্ষেত্রে কোন কোন জায়গায় দখলদারদের সাথে আপোস করা হয়েছে। পরিদর্শক দল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু করে বসিলা খেয়াঘাট (ব্রীজের নীচে) মোহাম্মদপুর পর্যন্ত সরেজমিনে নদীর বর্তমান অবস্থা ও সরকারি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলেন।
বিশিষ্ট লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো: আব্দুল মতিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল হক খান, বাপা’র জাতীয় কমিটির সদস্য জাভেদ জাহান, ইমরান হোসেন, ইকবাল হোসেন খালিদ, লালন গবেষক সরদার হীরক রাজা, ও গ্রীণ ভয়েসের ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক আব্দুস সাত্তার প্রমূখ।
ডা. মো: আব্দুল মতিন বলেন, সরকারি টাস্কফোর্স গণমাধ্যমে বলেছেন তারা ২০০৯ সালের নদী রক্ষা বিষয়ক হাইকোর্টের রায় মেনে কাজ করছেন। কিন্তু আজ বাপার সরেজমিন পরিদশর্নে সদর ঘাট থেকে বসিলা পর্যন্ত দেখা গেছে, অধিকাংশ স্থানেই উচ্চ আদালতের রায় যথাযথ প্রতিপালিত হয়নি। বরং তারা ভুল ভাবে স্থাপিত নদীর সীমানা খুঁটিকে ভিত্তি করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এতে রায়ে নির্দেশিত ‘ব্যতিক্রমহীন’ ভাবে দখলদার উচ্ছেদ হচ্ছেনা। অধিকাংশ স্থানে নদীতট (ফোর শোর) রক্ষা করা হয়েছে, ১৫০ ফুট প্রস্থ ‘নদীপাড়’ রক্ষা করা হয়নি। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে আদি বুড়িগঙ্গার উপরে অবস্থিত অসংখ্য বেআইনী দখলদারদের কিছুই করা হয়নি। তারা বুড়িগঙ্গা নদীর সঠিক পুনরুদ্ধার নিশ্চিতকরণে হাইকোর্টের রায়ের যথাযথ, পূর্ণাঙ্গ ও নির্মোহ বাস্তবায়নের দাবি জানান।
আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধারের দাবিতে নোঙরের মানবন্ধন
নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙরের উদ্যোগে মানবন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেছেন, বেপরোয়া দখল, ভরাট এবং ক্রমবর্ধমান দূষণ ও অব্যাহত আগ্রাসনের ফলে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল এখন মৃত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও সম্পূর্ণ আদি বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধারে কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বুড়িগঙ্গা নদী দখল ও দূষণ মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সংগঠনটি। এতে আদি বুড়িগঙ্গা নদীর রুট মেনে নদীটিকে দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনের প্রধান সুমন শামস এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কৃষিবিদ মঞ্জুর কাদের, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক আমির হোসেন মাসুদ, নোঙর পরিবারের আমিনুল হক চৌধুরী, মোহাম্মদ ফারুখ, বঙ্গজ শিল্পী গোষ্ঠির সাধারণ সম্পাদক স্বজন সাহা, গোলাম মোস্তফা নবী, আমিনুল ইসলাম, আবু সাঈদ টিটু, মোহাম্মদ মনসুর, মোহাম্মদ ওসমান গণিসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বুড়িগঙ্গায় উচ্ছেদ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ