Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দালাল চক্র ও প্রভাবশালীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা

গাজীপুরের শ্রীপুরে পৌর এলাকা ও ৫টি ইউনিয়নের ৩৫টির বেশি গ্রামে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ অর্ধ লক্ষাধিক ছাড়িয়ে গেছে। বৈধ গ্রাহকরা ভোগছে গ্যাসের সংকটে। ব্যাহত হচ্ছে শিল্প উৎপাদন, সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এক শ্রেণির অসাধু দালাল চক্র সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর পৌর এলাকার গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি, নতুন বাজার, বেলতলি, মাধখলা, বৈরাগীরচালা, বেড়াইদেরচালা, গিলারচালা, দারগারচালা, চন্নাপাড়া, কেওয়া পূর্ব খ-, পশ্চিম খ-, দক্ষিণ খ-, ভাংনাহাটি, মাওনা ইউনিয়নের মাওনা, সিংগারদীঘি, সলিং মোড়, পাথারপাড়া, গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া, নয়নপুর, ফরিদপুর, জৈনা বাজার, চকপাড়া, তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ, টেপিরবাড়ী, ছাতির বাজার, কাওরাইদ ইউনিয়নের আবদার, রাজাবাড়ী ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর, ধলাদিয়া, পাবুরিয়ারচালা, নোয়াগাঁও, নালিয়াটেকি, গজারিয়াসহ প্রায় ৩৫টির অধিক গ্রামে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। এসব সংযোগ থেকে অর্ধলক্ষাধিক বাড়িতে জ্বলছে বিপুল পরিমাণ বার্নার। প্রতি রাতেই চোর পুলিশ খেলায় চলছে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশকে খবর দিলে সাময়িক সংযোগ কাজ বন্ধ থাকলে পর মুহূর্তে তা চলে পুরো দমে। এদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-কাপাসিয়া সড়ক থেকে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার গ্রামের ভিতর দিয়ে চলে গেছে ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস লাইন। এসব এলাকার অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা একটি সংযোগ দিয়ে ১০/১২টি বার্নার জ্বালাচ্ছে। কোথাও কোথাও চলছে শিল্প কারখানা ও জেনারেটর। দালালচক্র প্রতি সংযোগের জন্য হাতিয়ে নিচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধ সংযোগ দিয়ে রাতারাতি হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করে শ্রীপুরের শিল্পাঞ্চলের বাড়ির মালিকরা ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে দেড় থেকে দুই গুণ ভাড়া হাতিয়ে নিয়ে লাভবান হচ্ছে। কিন্তু উল্টো দিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। ৩ মে রাত ৯টার দিকে শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া দক্ষিণ খ- গ্রামের গারো পাড়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার সময় পুলিশ একরামুল হক একচাঁনকে আটক করলেও রাতেই আবার তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার এসআই আব্দুস সালাম জানান, ওসি স্যারের নির্দেশেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শ্রীপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, তার বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিতাস গ্যাসের ভালুকার ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার সাহাব উদ্দিন জানান, গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান অব্যাহত আছে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এদিকে তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. গাজীপুরের জি.এম সাব্বির রহমান চৌধুরীকে অফিস ফোনে ফোন করে পাওয়া যায়নি। শ্রীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বনানী বিশ্বাস জানান, খুব দ্রুতই অবৈধ গ্যাসের সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দালাল চক্র ও প্রভাবশালীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ