পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্রসফায়ারের নামে কোনো বাহিনী কাউকে হত্যা করছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সুশীল সমাজের অনেকেই সমালোচনা করছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাকি নিরাপরাধীদের ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি, ক্রসফায়ারের নামে কোনো বাহিনী কাউকে হত্যা করছে না। মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে যখন অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারে গুলি ছোড়া হচ্ছে তখনই আত্মরক্ষার্থে গুলি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কাউকে হত্যার উদ্দেশ্যে নয়।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও বিজি প্রেস মাঠে আয়োজিত মাদকবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন পুরো বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছিল তখন আমরা বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ভয়ঙ্কর জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করেছি। যারা (জঙ্গিরা) বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে দেখানোর পাঁয়তারা করছিল। আবার জঙ্গিবাদের মতোই মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কঠিন সাজার ব্যবস্থা করে নতুন আইন করেছি। এই আইনের কঠোর প্রয়োগ হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের কারাগারে ধারণ ক্ষমতা ৩৫ হাজার। অথচ আছে ৯৫ হাজার কয়েদি। এই কয়েদিদের অধিকাংশই মাদক সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার। কঠোরতার কারণেই আজ মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারীদের জায়গা কারাগারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি বিজিবিকে নির্দেশনা দিয়েছি কোনোভাবে সীমান্ত দিয়ে যেন মাদক না ঢোকে। কোস্টগার্ডকে বলেছি উপকূলে নজরদারি রাখতে। এরপরেও মাদক আসছে। আমরা মাদক তৈরি করি না তবুও মাদক আসছে। মাদক আমাদের যে কী ক্ষতি করছি তা ঘরে ঘরে জানাতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মোসাদ্দেক মো. আবুল কালাম, কাউন্সিলর মুন্সি কামরুজ্জামান কাজল, মনোচিকিৎসক মোহিত কামাল, মানসের অধ্যাপক অরুপ রতন চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।