পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পথেই যাবে। গতকাল নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র স্বাধীনতা হলে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মুক্তির লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হউন’ শীর্ষক ঘোষণাপত্র প্রকাশ ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যেভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনও সেই পথে যাবে। যেখানে গায়ের জোর ও ভয় ভীতি দেখিয়ে ভোটের ফলাফল ক্ষমতাসীনরা নিয়ে নেবে। তিনি বলেন, ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন হবে। কেমন নির্বাচন হবে? হলের মধ্যে কেন্দ্র বসানো হবে। বলবে আপনি চলে যান ভোট দেয়া লাগবে না। কিছুই করতে পারবেন না। পত্রিকায় দেখলাম মেয়েরাই নির্ধারণ করবে এই ভোটের ফলাফল। মেয়েরা কি নির্ধারণ করবে? ভয়ে তো ওরা ভোট কেন্দ্রেই যাবেই না। আর যদিও যায় তাতেই বা কি হবে? সরকারের লোকজন তো বলে আমার চোখের সামনে ভোট দেন। ভোটাররা যদি ভোট দিতে না যায় তাহলে সেটা বিরাট প্রতিবাদ। কিন্তু প্রতিবাদ করে লাভ কি? ওরা বলে প্রতিবাদ যতোই করো আমার কানে না ঢুকলেই হয়। ওই যে বলে ‘পিঠে দিয়েছি কুলো, কানে দিয়েছি তুলো’। সরকার এ রকম বেহায়া।
মান্না বলেন, ৩০ তারিখের নির্বাচনে রাতে ভোট ডাকাতি হয়েছে। ডাকসুতে রাতে ডাকাতি হবে না। এখানে দিনের বেলায় ভয় ভীতি দেখিয়ে, গায়ের জোরে হলের মধ্যে ভোট হবে। সরকার সমর্থিতরা জিতবে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯টা হল। তার মধ্যে ৪-৫টা অন্যদের দিয়ে দিল। তারপর বলবে গণতান্ত্রিক ফল হয়েছে। তা না হলে ওরা জিতলো কীভাবে? ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, আমাদের সকলকে লড়াই করতে হবে। কারো মনে হতে পারে ক্ষমতায় তো যেতে পারলাম না। এখনো পারছি না। দেশে এখন এমন একটা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে, যখন এখান থেকে বের হতে সমস্ত জনগণের ঐক্য লাগবে। এই ঐক্য গড়ে তোলার জন্য আমরা এখনো চেষ্টা করছি।
মান্না বলেন, পুলিশ লীগ না থাকলে তখন আওয়ামী লীগ থাকবে কিনা সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি আমরা। পুলিশের কাছে এই দেশকে জিম্মি করে রেখেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সরকারের উন্নয়নের সমালোচনা করে মান্না বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনীতি হল লুটপাটের অর্থনীতি। এই সরকার উন্নয়ন করছে না, লুটপাট করছে। দেশে এমন উন্নয়ন হচ্ছে যেখানে মানুষ চাকরি পাচ্ছে না।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- চিত্র সাংবাদিক শহীদুল আলম, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ (একাংশের) সভাপতি প্রফেসর নুরুল আমিন ব্যাপারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের প্রফেসর রাশেদ আল মাহমুদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সি আর আবরার প্রমুখ। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।