Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জহুরুলের ব্যাটে প্রথম সেঞ্চুরি

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

সম্প্রতি শেষ হওয়া বিপিএলটা ভালো কাটেনি জহুরুল ইসলামের। আঙুলের চোটের কারণে দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতেও। মাঠে ফিরলেন প্রিমিয়ার লিগের একদিনের আসরে। প্রথম ম্যাচেই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান উপহার দিলেন সেঞ্চুরি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছেন জহুরুল। তার ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১২১ রানে ৫০ ওভারে আবাহনী তোলে ২১৬ রান। উঠতি ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া বিকেএসপি ৫৫ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ১৫৬ রানে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলেছেন জহুরুল। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ কঠিন। বিচ্ছিন্নভাবে সবুজের ছোঁয়া উইকেটে, ঘাসের ফাঁকে ফাঁকে আবার ন্যাড়া। শুরুতে ছিল মুভমেন্ট, ইনিংস জুড়ে বাউন্স ছিল একটু অসমান। এই উইকেটেই দারুণ খেলে দলকে টেনে নিয়েছেন জহুরুল। এক প্রান্তে টিকে থাকলেও আরেক প্রান্তে উইকেট পড়েছে নিয়মিত। জুটি ভাঙার পরও বলতে গেলে একার ব্যাটে এগিয়ে নিয়েছেন দলকে। ৭৯ বলে করেছিলেন ফিফটি। ১৩২ বলে স্পর্শ করেছেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি। চালিয়ে গেছেন এরপরও। ইনিংসের শেষ ওভারেও তিনটি বাউন্ডারি আসে জহুরুলের ব্যাটে। ১৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৪৭ বলে অপরাজিত থাকেন ১২১ রানে।

জবাবে ব্যাটিং দুরূহ উইকেট ও আবাহনীর শক্তিশালী বোলিংয়ে এই মাঝারি রান তাড়াও অনভিজ্ঞ বিকেএসপির জন্য ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। মূলত অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দল পারেনি সেই চ্যালেঞ্জর জবাব দিতে। শুরুতে সাইফ ও রুবেল হোসেনের আগ্রাসী বোলিং চাপে ফেলে দেয় তরুণ ব্যাটসম্যানদের। পরে একের পর এক উইকেট নিয়েছেন আবাহনীর স্পিনাররা। ওপেনিংয়ে রাতুল খান ৩৭ রান করতে বল খেলেছেন ৭৫টি। সাতে নেমে দলের সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৮ করেছেন অধিনায়ক আব্দুল কাইয়ুম। সেভাবে জয়ের সম্ভাবনাই জাগাতে পারেনি বিকেএসপি।

এদিকে, কদিন আগেই প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। কিন্তু ওয়ানডে টুর্নামেন্টের শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে দলটি। তাও আবার প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে। চ্যাম্পিয়নদের ৯ রানে হারিয়ে লিগে শুভ সূচনা করে নবাগত দলটি। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উত্তরার দেয়া ৪ উইকেটে ২৫০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯ উইকেটে ২৪০ রানে থামে শেখ জামাল।

তবে উদ্বোধনী দিনে সবচেয়ে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে বিকেএসপি দুই নম্বরে হওয়া রূপগঞ্জ-ব্রাদার্স ইউনিয়ন ম্যাচ। আগের ওভারেই আউট হয়ে গেলেন এক প্রান্ত ধরে রাখা শাহরিয়ার নাফীস। শেষ ওভারে তাই কিছুটা হলেও চাপে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। প্রয়োজন ছিল ৯ রানের। হাতে ৩ উইকেট। কিন্তু চেরাগ জানির করা সে ওভারের তৃতীয় বলে দারুণ এক ছক্কা মেরে কাজটা সহজ করে দেন মুক্তার আলী। ফলে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৩ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রূপগঞ্জ। নাঈম ইসলামের দল ২২১ রানের লক্ষ্যে পৌঁছায় এক বল বাকি থাকতে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ