পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুসলিম কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশ ও সউদী আরবের সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে প্রভাবশালী সউদী আরব তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে এসে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য নানা ধরনের সেবা-পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশে বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে দেশটি। বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, সৌরশক্তি, জ্বালানি, টেলিকমিউনিকেশন, তথ্য-প্রযুক্তি, পেট্রোকেমিক্যাল, ওষুধশিল্প, জাহাজ নির্মাণ এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশে ৩৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। এমনকি সবকিছু ঠিক থাকলে এ অঙ্কও ছাড়াতে পারে। শুধু বিনিয়োগই নয়; দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সৃষ্টিরও উদ্যোগ নিয়েছে ভ্রাত্রিপ্রতিম দেশটি। দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত দুটি চুক্তি ও চারটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে এই বিপুল সউদী বিনিয়োগ ভারত এবং বিশ্বের মুসলিম দেশসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে নতুন বার্তা দেবে। এই বিনিয়োগ সম্পর্ক বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে দুই দেশকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
সউদী আরবের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রী মাজেদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি এবং অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন মেজইয়ে আলতাইজরি ৩৪ সদস্যের প্রতিনিধি নিয়ে দুই দিনের সফরে ঢাকা আসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে তারা বৈঠক করেন। সংলাপে ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, সউদী আরবের দুই মন্ত্রীসহ ৩৪ সদস্যের প্রতিনিধি।
সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সংলাপে আলাদা বক্তব্যে উঠে আসে, সউদী আরবের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুই হাজার একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। তারা বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, উড়োজাহাজকে গুরুত্ব দিয়ে ১৬ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে।
এরপর দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেশের অগ্রাধিকার খাতগুলোতে সউদী আরবকে বিনিয়োগের আহবান জানানো হয়। সউদী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং অর্থায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের দেয়া বিভিন্ন সুবিধা, প্রণোদনা, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও এর প্রতিকার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, সউদী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তারা আমাদের চাহিদা জানতে চেয়েছে। আমরা বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কথা বলেছি। এরমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম- কক্সবাজার ট্রেন, ঢাকা-বরিশাল ট্রেন লাইনসহ আরও কয়েকটি প্রকল্প। আমরা তাদের কাছে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের কথা বলেছি। তারা সঙ্গে সঙ্গে এ নিয়ে একটি কমিটি করার প্রস্তাব করলেন। সউদীর অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী থাকবেন সেই কমিটির প্রধান। নাম হবে সউদী-বাংলাদেশ জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি ফর ইনভেস্টমেন্ট। এ কমিটিতে আমাদের পক্ষ থেকে কয়েকজন মন্ত্রী থাকবেন। তারা দ্রæত আমাদের প্রজেক্টগুলো নিয়ে স্টাডি করবেন। এবং তাদের মতামত আমাদের জানাবেন।
আমি আশ্বস্ত যে দ্রæত আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যার কাছে ফান্ড তিনি যেহেতু এই কমিটির প্রধান তাই আমারা দ্রæততার সাথে এগিয়ে যেতে পারব।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সউদী আরবকে বড় বড় বিনিয়োগের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে ২৫-৩৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, যদি সবকিছু ঠিক ঠাক থেকে তাহলে সউদী বিনিয়োগ ৩৫ বিলিয়ন ডলারও ছাড়াতে পারে।
এর আগে সংলাপে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জাতির পিতার হাত ধরেই সউদীর আরবের সঙ্গে আমাদের সু-সম্পর্ক। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী সউদী আরব সফর করেছিলেন। তার ফল আসতে শুরু করেছে। দুই দেশের মধ্যে সব সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
এ সময় বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও সরকারি প্রতিনিধি দলকে রিয়াদের একটি কনফারেন্সে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে সউদী আরবের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ ও সউদী আরবের ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নে ‘বাংলাদেশ-সউদী বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল’ সৃষ্টি করতে পারি।
আবদুল্লাহ আল কাসাবি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশ এশিয়ার নতুন টাইগার। আমরা এ দেশকে বিশ্বাস করি। সউদী আরবের একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী বাংলাদেশ। আমাদের বাংলাদেশি ভাইয়েরা গত এক দশকে সউদী আরবের উন্নয়নে সহায়তা করেছে। প্রায় দুই মিলিয়ন বাংলাদেশি সউদী আরবে আছেন। যারা নতুন সউদী আরব গড়ে তুলতে ভ‚মিকা রাখছেন।
দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ-সউদী আরব বাণিজ্যিক লেনদেন বেশ কম। উভয় দেশের মধ্যে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, যা সন্তোষজনক নয়। সউদী প্রতিনিধি দলের বংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় স্থাপিত হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমরা সহায়তা, কাজ ও সুযোগের সন্ধানে এখানে এসেছি। আশা করি এই বৈঠক ফলপ্রসূ হবে। আমরা নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঠিক করতে পারব।
এ সময় ‘বি টু বি’ (ব্যবসায়ীর সঙ্গে ব্যবসায়ীর), ‘জি টু জি’ (সরকারের সঙ্গে সরকারের) এবং ‘বি টু জি’ (ব্যবসায়ীর সঙ্গে সরকারের) অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে রিয়াদে একটি উন্মুক্ত সংলাপে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি।
আবদুল্লাহ আল কাসাবি বলেন, আমরা আমাদের ভিশন-২০৩০ নির্ধারণ করেছি। বাংলাদেশ ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং যৌথ সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে, যাতে উভয় দেশ লাভবান হয়।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও জনশক্তিসহ কয়েকটি খাতে বিনিয়োগের জন্য সউদী আরবের সঙ্গে দুটি চুক্তি ও চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে; যার মাধমে দেশে বড় ধরনের বিদেশি বিনিয়োগ আসবে আসবে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহম্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে সউদী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এসব চুক্তি ও সমঝোতায় সই করেন বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থার প্রতিনিধিরা।
চুক্তি সইয়ের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন সউদী আরবের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি এবং অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন মাজিদ আল-তাওজরি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে সাংবাদিকদের বলেন, সউদী বাদশাহ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে আগ্রহী বলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রী মাজিদ বৈঠকে জানিয়েছেন। সউদী আরবের ৩৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে গত বুধবার রাতে ঢাকায় পৌঁছান দেশটির দুই মন্ত্রী। তবে সউদী কি পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে এ সম্পর্কে কোন তথ্য দেননি তিনি।
চুক্তি ও সমঝোতা : ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র (সোলার আইপিপি) নির্মাণে সউদী আরবের আলফানার কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি)। ইজিসিবির পক্ষে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অরুণ কুমার সাহা এবং আলফানার কোম্পানির পক্ষে সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট খালিদ বিন কাবেল আল সুলামি এ চুক্তিতে সই করেন। এরপর ট্রান্সফর্মার ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনে সউদী কোম্পানি ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে জেনারেল ইলেকট্রিক ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। জেনারেল ইলেকট্রিকের পক্ষে ব্যবস্থানা পরিচালক সুলতান আহমেদ ভ‚ইয়া এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিন নাজিব আল হাজি চুক্তিতে সই করেন।
বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং সউদী আরবের আল মাম ট্রেডিং এস্টেটের মধ্যে জনশক্তি রফতানি বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিএমইটির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এসকে রফিকুল ইসলাম এবং আল মামের চেয়ারম্যান ইউসুফ আবদুল্লাহ আল মুশির এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এছাড়া ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ প্ল্যান্ট নির্মাণে সউদী আরবের ইউসুফ আল রাজি কনস্ট্রাকশন এস্টেটের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল হালিম এবং বিনিয়োগকারী কোম্পানির ইউসুফ বিন আব্দুল্লাহ আল রাজি এই সমঝোতায় সই করেন।
অপর সমঝোতাটি ‘সউদী-বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব বায়ো-মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সউদী আরবের আল আফালিক গ্রæপ (এএইচ গ্রæপ) এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল হালিম এবং এএইচ গ্রæপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ এস আলফালেক এতে সই করেন। বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন (বিএসইসি) এবং রিয়াদ কেবলস গ্রæপ অব কোম্পানির মধ্যে তার উৎপাদনের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক হয়েছে। শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম এবং রিয়াদ কেবলসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুস্তাফা মোহাম্মদ রাফিয়া এই এমওইউতে সই করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই সউদী মন্ত্রীর বৈঠকের বিষয়ে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, তারা সউদী বাদশাহ ও ক্রাউন প্রিন্সের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এখানে এসে তারা যা দেখেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন, তার খুব প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের রফতানি আয় ১০ বিলিয়ন থেকে ৩৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ইহসানুল করিম বলেন, কাসাবি বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপনার নিজের ও আপনার টিমের জন্য গর্ব করা উচিৎ। অতি দরিদ্রের হার কমে আসায় সউদী মন্ত্রী বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, তারা আশা করছেন এটা আরও কমে আসবে। মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি বাংলাদেশ-সউদী সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন বলেও প্রেস সচিব জানান। বাংলাদেশকে এশিয়ার টাইগার হিসেবে বর্ণনা করে মজিদ বলেন, সউদী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
বাংলাদেশে আসার আগে সউদী বাদশাহ সালমানের সঙ্গে বৈঠক করার কথাও উল্লেখ করের মজিদ। তিনি বলেন, সউদী বাদশাহ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী তাদের স্বাগত জানিয়ে দুই দেশের ঐতিহ্যগত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন বলে জানান প্রেস সচিব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের দেশকে উন্নত করতে চাই। জায়গা কম হলেও আমাদের জনসংখ্যা প্রচুর। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে বিনিয়োগকারীদের জমি দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের বিরাট অভ্যন্তরীণ বাজারের কথাও তিনি তুলে ধরেন।
লালমনিরহাটে এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আইন পাস করা হয়েছে। অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।