Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নাটকীয় জয়ে ম্যান ইউ’র ইতিহাস

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৯, ৫:০২ এএম

পুরো ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েও কোন কাজ হলো না! একবার দুবার নয়, তিন তিনবার অমার্জনীয় ভুল করে বসলো পিএসজি। সেই ভুলের পূর্ণ ব্যবহার করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস গড়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটডে। টানা তৃতীয়বারের মত শেষ ষোলোয় থমকে গেল ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের ইউরোপিয়ান শিরোপা স্বপ্ন।

বৃহস্পতিবার রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রেন্সেসে ৩-১ গোলে জেতে ম্যান ইউ। বিজয়ী দলের হয়ে জোড়া গোল করেন রোমেলু লুকাকু। প্রথম লেগে ওল্ড ট্রাফোর্ড থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফেরে পিএসজি। দুই লেগ মিলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-৩। অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখলো ওলে গানার সুলশারের দল।

অন্তিম মুহূর্তে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয় ভিএআর পেনাল্টি। মার্কাস র‌্যাশফোর্ডের ৯৪তম মিনিটের সেই গোলে ইতিহাস রচনা করে রেড ডেভিলরা। হৃদয় ভাঙে স্বাগতিক সমর্থকদের। ঘরের মাঠে প্রথম লেগে কমপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে থাকার পরও এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে কোন দল প্রতিযোগিতায় টিকে রইলো। এর আগে ১০৬ ম্যাচে কোন দলই আর ঘুরে দাঁড়ানোর নজির গড়েতে পারেনি।

ম্যাচের শুরুতেই গোল করে প্রিমিয়ার লিগের দলকে অসম্ভবের স্বপ্ন দেখান লুকাকু। ৩০ মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় গোলের মাধ্যমে সেটাকে আরো স্পষ্ট করেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড র‌্যাশফোর্ড।

প্রথমার্ধে দুই গোল ছাড়া উল্লেখ করার মত কিছুই করতে পারেনি ম্যান ইউ। এসময় ৮৫ শতাংশ সময়ই বলের দখল ছিল পিএসজির অনুকূলে।

দ্বিতীয় মিনিটে নিজেদের ডি বক্সের সামনে ব্যাকপাস দেন টিলো কেরার। কিন্তু তা ঠিক কার উদ্দেশ্যে তা পরিষ্কার ছিল না। বল পেয়ে যান লুকাকু। গোলরক্ষক বুফনকে কাটিয়ে সহজেই তা জালে পাঠিয়ে দেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার।

নিজেদের ভুলে পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে টমাস টুখেলের শিষ্যরা। একের পর এক আক্রমণে তটস্থ করে তোলে সফরকারীদের রক্ষণ। ১২তম মিনিটে মেলে তার ফল। ডানপ্রান্ত থেকে এমবাপের ক্রসে প্লেসিং শটে স্কোরবোর্ডে সমতা আনেন হুয়ান বের্নাট।

৩০তম মিনিটে ভুল করে বসেন প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বয়স্ক ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বুফন। র‌্যাশফোর্ডের দুরপাল্লার শট নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি ইতালিয়ান গোলরক্ষক। দৌড়ে এসে তার মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে আবারো দলকে এগিয়ে নেন লুকাকু।

এর আগে পরে আক্রমণের বান বইয়ে দিয়েও জাল আবিষ্কার করতে পারেননি এমবাপে-ডি মারিয়ারা।

বিরতির পরও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য ছিল পিএসজির। কিন্তু জালের দেখা পায়নি তারা। ৫৬তম মিনিটে ডি মারিয়া বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। এমবাপে এদিন নিজের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। বেশ ক’বার গতির কারণেই বলের নিয়ন্ত্রণ হারান ফরাসি তারকা। ৮৪তম মিনিটে বের্নাটের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।

স্কোরবোর্ড ২-১ হলেও দুই লেগ মিলে এসময় এগিয়ে ছিল পিএসজিই। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়ে আবারো ভুল করে বসে পিএসজির রক্ষণ। ডিওগো ডালটের শট প্রেসনেল কিম্পেম্বের হাতে লাগে। ভিএআরের সহায়তা নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সুযোগটা কাজে লাগাতে কোন ভুল করেননি র‌্যাশফোর্ড। ডানপায়ের উঁচু শটে বল জালে পাঠান তিনি।

প্রথম লেগে ওল্ট ট্রাফোর্ডে ২-০ গোলের জয়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন কিম্পেম্বে।

একই সময়ে অন্য ম্যাচটিও ছিল নাটকীয়তায় ভরা। নির্ধারিত সময়ে ঘরের মাঠে রোমার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল পোর্তো। ওদিকে প্রথম লেগেও একই ব্যবধানে এগিয়ে ছিল রোমা। ৩-৩ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। শেষ বাঁশি বাজার ৫ মিনিট আগে পেনাল্টি পায় পোর্তো। তা থেকে গোল করে দলকে শেষ আটে তোলেন অ্যালেক্স তেলেস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ