পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়ার প্রাণ ভোমরা করতোয়া নদীকে রক্ষায় ২শ’ কোটি টাকার একটি বৃহত্তম প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সরকার মৃতপ্রায় নদ-নদীগুলোর সাবেক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে যে উদ্যোগ নিয়েছে এই প্রকল্পটি সেই আলোকেই নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বগুড়া জেলায় এটি একটি দৃষ্টিনন্দন বিনোদন ও পর্যটন স্পটে পরিণত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা যায়, ২ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয়ে এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয় সার্ভে সমাপ্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন পর্যায়ে পূর্বে দাখিলকৃত প্রকল্প প্রস্তাবনা সংশোধনের কার্যক্রম চলমান এবং চলতি মার্চ মাসে চুড়ান্ত প্রস্তাবনা দাখিল হবে বলে সূত্রে জানা গেছে। প্রকল্প অনুমোদন সাপেক্ষে যতদ্রুত সম্ভব প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটির আওতায় বগুড়া, গাইবান্ধা জেলায় ১২৩ কি.মি. লোয়ার করতোয়া নদী, ৩৫কি.মি. গজারিয়া নদী, ৭৩ কিলোমিটার ইছামতি নদী লংবুম এক্সেভেটরের এর মাধ্যমে পুন:খনন কাজ করা হবে। এই খননে ১৮৮ দশমিক ৭৭৪ লক্ষ ঘন মিটার মাটি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। এ অনুসারে বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলায় নদীর উভয় পাড়ে ২৩টি স্থান, গজারিয়া নদীর উভয়পাড়ে ৩২টি স্থান, ইছামতির উভয় পাড়ে মাটি ব্যবস্থাপনার জন্য ৫২টি স্থান নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বগুড়া জেলার শাজাহানপুরে অধিগ্রহণকৃত ৩শ’ একর ভূমির উন্নয়ন করা হবে নদীর মাটি ব্যবহার দ্বারা এবং সেখানে বগুড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় শহরের নর্দমার পানি প্রবাহের জন্য নদীর দু’পাড়ে ড্রেন ও সাইফন নির্মাণ, ওয়েষ্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, মহাস্থানে পরশুরামের প্রাসাদ ও বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে সিড়িসহ বসার আসন ও ভিউয়িংডেক নির্মাণ করা হবে।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আলোচ্য নদীগুলো হারানো প্রবাহ ফিরে পাবে ও নদী সংলগ্ন এলাকায় কৃষি এবং মৎস্য উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধির সহায়ক হবে। নদী এলাকার আবহাওয়া দূষণমুক্ত এবং নদীকে ঘিরে বিনোদনের মত বিভিন্ন কর্মকান্ডের ফলে সাধারণ মানুষের নানা উপকার সাধিত হবে বলে পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত। নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া শুরু করায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।