Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মির্জাপুরের মা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

জামানত ও বিল বকেয়া সাড়ে তিনকোটি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৯, ৬:৩৪ পিএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের বিরুদ্ধে জামানত ও বিলের প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বকেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই বিপুল অংকের টাকা পেতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে জানালেও দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর হলেও জামানত ছাড়া গ্যাস বিক্রি অব্যাহত রেখেছে মা সিএনজি।
এদিকে তিতাসের গাজীপুর অঞ্চলের সদ্য বিদায়ী উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, জামানতের টাকা বকেয়া রেখে কোন ভাবেই গ্যাস সংযোগ চালু রাখার সুযোগ নেই।
অভিযোগ রয়েছেÑ সিএনজি স্টেশনটিতে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জামানতের ২ কোটি ৮ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বিল বাবদ বকেয়া রয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
জামানত ও বকেয়া বিলের এই বিপুল অংকের টাকা পরিশোধের জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালে মা সিএনজি কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানালেও তারা টাকা জমা এবং কোন সদোত্তর দেয়নি।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে ৪৮ লাখ ৮১ হাজার ৩৫৫ টাকা জামানত দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাসে মা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন।
টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানান, ২০১৫ সালে প্রথম দফায় সরকার গ্যাসের বৃদ্ধি পেলে প্রতিষ্ঠানটি জামানত বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ১১ লাখ ১৭ হাজার ৪২৮ টাকা। ওই টাকা পরিশোধের জন্য ২০১৫ সালে লিখিতভাবে তাদের জানানো হয়। কিন্ত মা সিএনজি কর্তৃপক্ষ জামানতের টাকা পরিশোধও করেনি এবং লিখিতভাবে কোন সময়ও প্রার্থনা করেননি।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় ২০১৮ সালে সরকার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করলে প্রতিষ্ঠানটির জামানতের পরিমান দাঁড়ায় ২কোটি ৮লাখ ৮৯ হাজার ৯০০টাকা। কিন্ত এক বছর পেরিয়ে গেলেও সে টাকাও তারা জমা দেয়নি এবং কোন লিখিত আবেদনও করেনি।
এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্ররুয়ারি দুই মাসের গ্যাস বিলও বাবদ প্রতিষ্ঠানটি কাছে বকেয়া রয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫৪ টাকা।
জামানতের দুই মাসের বকেয়া বিল প্রতিষ্ঠানটির কাছে বর্তমানে তিতাস গ্যাসের পাওয়ানার রয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৫৪ টাকা।
এ ব্যাপারে মা সিএনজি স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম মিয়া জানান, আজ বুধবার বিকেলে জানুয়ারি মাসের বকেয়া ৬০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। জামনতের টাকার বিষয়ে তিনি বলেন অন্য দশটি সিএনজি স্টেশন যেভাবে চলছে তার টাও সেভাবেই চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাস অফিসের ব্যবস্থাপক মো. মামুনুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে দ্রুতই প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য জামানতের পৌনে তিন কোটি টাকা ও দুই মাসের বকেয়া বিল থাকার অভিযোগে ২৮ ফেব্রুয়ারি গাজাীপুরের বোর্ড বাজারে অবস্থিত ইব্রাহিম মিয়ার মির্জাপুর সিএনজি নামে অপর আরেকটি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া গাজীপুর তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ