পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিঙ্গাপুুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
গতকাল দুপুরে হাসপাতালে ব্রিফ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. ফিলিপ কোহ। ডা. ফিলিপের বক্তব্যের আলোকে তার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী।
ডা. রিজভী বলেন, রক্তচাপসহ কিছু দিকে উন্নতি হওয়ায় ওবায়দুল কাদেরকে দেয়া কৃত্রিম উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাত্রা কমিয়ে আনা হচ্ছে। তবে সার্বিকভাবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও কিডনিসহ কিছু সংক্রমণ রয়ে গেছে। সংক্রমণ সারিয়ে তোলা গেলে এক সপ্তাহের মধ্যে বাইপাস সার্জারি সম্ভব বলে জানান তারা।
মেডিকেল বোর্ড আরো জানিয়েছে, কার্ডিয়াক কন্ডিশন আগের থেকে ইমপ্রুভ করছে, সাথে একটু ইনফেকশন আছে তার। কিডনি সমস্যাও আছে। তাকে এখনও টিউব পরিয়ে রাখা হয়েছে, এখনও টিউব উঠানোর মত অবস্থায় নাই। এ অবস্থায় রাখলে ঘুম পাড়ানোর ওষুধ দিয়ে রাখতে হয়।
তারা আরো জানান, হেমোডাইনেমেক্যালি তার স্ট্যাবিলিটি আস্তে আস্তে হচ্ছে। এটা ক্রমান্বয়ে ভালো করছে। ব্লাড প্রেসারটা আগের থেকে স্থিতিশীল হয়েছে। একই সাথে কৃত্রিম প্রেসার নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রের মাত্রা আস্তে আস্তে কমিয়ে আনা হচ্ছে। সার্জারির জন্য প্রস্তুত হতে আর ৫-৭ দিন সময় লাগবে বলে ধারণা করেছে মেডিকেল টিম।
এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওবায়দুল কাদেরের সহধর্মিনী বেগম ইসরাতুন্নেসা কাদের, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, একরামুল করিম চৌধুরী, নিজাম হাজারী এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ।
পরে এদিন সন্ধ্যায় হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পর ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী বেগম ইসরাতুন্নেসা কাদের জানিয়েছেন, আপাতত তার কিডনি ডায়ালাইসিস লাগবে না। তিনি আরো জানান, সেতুমন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল আছে। ধাপে ধাপে উন্নতি হচ্ছে। তার কিডনিতে কিছু জটিলতা এবং রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়লেও আপাতত ডায়ালাইসিস লাগবে না। ৪-৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে বলে আশা করছেন ডাক্তাররা। এটা ঠিক হয়ে গেলে তারা হার্টের বাইপাস সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ওবায়দুল কাদেরের দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার স্ত্রী।
উল্লেখ্য, হৃদরোগে আক্রান্ত কাদেরের শারীরিক অবস্থা খানিক স্থিতিশীল হওয়ায় গতকাল তাকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সিঙ্গাপুর পৌঁছায়। এর আগে বিএসএমএমইউ-এ কাদেরের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. দেবী শেঠি। তার সঙ্গে কথা বলে বিএসএমএমইউ চিকিৎসকরা কাদেরকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।