পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন সংসদে কাদিয়ানীদের পক্ষে এবং কওমী শিক্ষা ও আল্লামা শফী’র বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য রেখেছেন। তার এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াতের সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেছেন, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন সংসদে কাদিয়ানীদের পক্ষে এবং কওমী শিক্ষা ও আল্লামা শফী’র বিরুদ্ধে অশালীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য রেখেছেন। তিনি পঞ্চগড়েও কাদিয়ানীদের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। এসব কারণে মেনন আদৌ মুসলমান আছেন, না কাদিয়ানী হয়েছেন, এ নিয়ে মানুষ সন্দেহ পোষণ করেছেন।
সংসদে দেয়া বক্তব্যে তিনি তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াতকেও দোষারোপ করেছেন। তার জানা থাকা উচিত আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক ও শান্তিপ্রিয় ধর্মীয় সংগঠন। এ সংগঠন শান্তিপূর্ণভাবে আল্লাহর নবীর মহান বৈশিষ্ট্য আকিদা-বিশ্বাসের হেফাজতের ব্যাপারে আন্দোলন করে যাচ্ছে। পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা করা হলে কাদিয়ানীরা অন্যান্য সংখ্যালঘু অমুসলিমদের মতো তাদের নাগরিক অধিকার নিয়ে দেশে বসবাস করতে পারবে, তাতে কোন আপত্তি থাকবে না। রাশেদ খান মেনন তার বক্তব্যে এ বিষয়ে অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন এবং দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও কওমী শিক্ষার প্রতি কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের অবমাননা করেছেন। রাশেদ খান মেনন তার মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
গতকাল আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, মাও. মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাও. আহমদ আলী কাসেমী, মাও. জহুরুল ইসলাম, মাও. আব্দুল মালেক, মাও. মাসউদ আহমদ সাহেব, মাও. রাশেদ বিন নুর, মুফতি মোরশেদ বিন নুর।
খেলাফত আন্দোলন
জাতীয় সংসদে কওমি মাদরাসাকে বিষবৃক্ষের সাথে তুলনা, ইসলামি অনুশাসনকে ‘মোল্লাতন্ত্র’ ও আল্লামা আহমদ শফিসহ আলেম সমাজকে কটাক্ষ করে রাশেদ খান মেননের ঔদ্ধ্যত্বপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে কাদিয়ানিদের দোসর রাশেদ খান মেনন। তার লাগামহীন এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কাদিয়ানীদের দোসর রাশেদ খান মেনন কুরআন-সুন্নাহর বিধান ও ইসলামী অনুশাসনকে ‘মোল্লাতন্ত্র’ আখ্যায়িত করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে (সা.) অপমানিত করেছেন। তিনি আল্লামা আহমদ শফিকে কটাক্ষ করে শুধু আলেম সমাজ নয়, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকারসহ গোটা সংসদকে অপমানিত করেছেন। তিনি আল্লাহ ও রাসূলকে (সা.) অবমাননা করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মেননকে শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল বিকালে আলেমগণের এক প্রতিবাদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন শায়খুল হাদিস ফারুক আহমদ, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা সানাউল্লাহ ও মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।