Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র গাঁজায় বিনিয়োগ

চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

গাঁজার ভবিষ্যৎ বাজার নিয়ে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস শুনলে সবার কাছে হয়তো মনে হবে তারা একটু বেশিই বলছেন। লন্ডনভিত্তিক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান প্রোহিবিশন পার্টনার্স মনে করে, ২০২৮ সাল নাগাদ গাঁজার ইউরোপীয় বাজার দাঁড়াবে ১২ হাজার ৩০০ কোটি ইউরোয় (১০ হাজার ৬০০ কোটি পাউন্ড)। যা ওই অঞ্চল থেকে অ্যাপল থেকে মোট আয়ের দ্বিগুণ এবং ইউক্রেনের জিডিপির চেয়ে বেশি।
কিছু পূর্বাভাসে আরো চমকপ্রদ অংকের কথা বলা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্ব ৫০ হাজার কোটি ডলার থেকে ১ ট্রিলিয়ন ডলার আকারের একটি নতুন শিল্পের আবির্ভাব প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছে। শুনতে আজগুবি মনে হলেও গত বছর চিকিৎসাক্ষেত্রে গাঁজা ব্যবহারের বৈধতা ঘোষণার পর বিশ্বে একেই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এ শিল্প নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে গবেষণা শুরু করেছে। এরই মধ্যে গাঁজা শিল্পে কিছু কোম্পানি ব্যবসা শুরু করেছে; শেয়ারবাজারে যাদের মূল্য শতকোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত সপ্তাহে টিভি শেফ ও মাল্টিমিলিয়নেয়ার বিনিয়োগকারী মার্থা স্টুয়ার্টের সঙ্গে চিকিৎসাক্ষেত্রে সিবিডি প্রসারের ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের ঘোষণা দিয়েছে কানাডার একটি বড় কোম্পানি ক্যানোপি গ্রোথ।
মার্থা স্টুয়ার্টের এ খাতে আগমন মানে আমেরিকার সম্ভ্রান্ত ঘরে গাঁজার প্রবেশ ঘটা। নতুন এ অংশীদারিত্বের ফলে তিনি হিপহপ সুপারস্টার স্নপ ডগের কাতারে শামিল হলেন, যিনি গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার প্রসারে কাজ করে যাচ্ছেন।
ক্যানোপির প্রতিদদ্বী ও স্বদেশী কোম্পানি ক্রোনসে ১৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে ৪৫ শতাংশ কিনে নিয়েছেন মার্লবোরো সিগারেটের স্বত্বাধিকারী আলত্রিয়া। গাঁজা থেকে পানীয় তৈরির গবেষণায় অন্যতম গাঁজা কোম্পানি টিলরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে আমেরিকান বিয়ার জায়ান্ট এবিইনবেভ। বৈশ্বিক পানীয় জায়ান্ট কোকা-কোলাও এ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।
যারা বড় অংকের বিনিয়োগ নিয়ে গাঁজার বাজারে আসছে, তারা ক্যালিফোর্নিয়ার ধুঁকতে থাকা কোনো স্টার্টআপ কোম্পানি নয়, বরং বৈশ্বিক হেভিওয়েট। তারা এ খাতে সম্ভাবনা দেখছে বলেই বড় অংকের বিনিয়োগ নিয়ে আসছে।
ক্রোনস, ক্যানোপিসহ অন্য বড় প্রতিষ্ঠান অরোরা-সবগুলোই কানাডাভিত্তিক, যেখানে ২০১৮ সালে বিনোদনমূলক গাঁজা ব্যবহারেও অনুমতি মিলেছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে অনুমতির ১৭ বছর পর বিনোদনমূলক ক্ষেত্রে গাঁজা ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া গেল। অন্যান্য দেশও যখন কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণ করছে, সেখানে এ বাজারে নতুন কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এমনই একজন আলেক্সান্দ্রা চং, যিনি জ্যাকানার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে জ্যামাইকাভিত্তিক একটি গাঁজা কোম্পানি হচ্ছে জ্যাকানা। কোম্পানিটি সম্প্রতি ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টদের ২ কোটি ডলার বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে। এছাড়া তার সর্বশেষ বড় উদ্যোগ ডেটিং অ্যাপ লুলু থেকেও মূলধন সংগ্রহ করেছেন জ্যামাইকায় বেড়ে ওঠা চং।
এরই মধ্যে কানাডায় দুটি চালান পাঠিয়েছে জ্যাকানা। যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও দৃষ্টি রয়েছে ক্যারিবীয় এ কোম্পানিটির। চং মনে করেন, অর্থনীতির কিছু মূল ভিত্তির ওপরই দাঁড়িয়ে আছে এ শিল্প বিকাশের সম্ভাবনা। চিকিৎসাক্ষেত্রে গাঁজা থেকে জাত বিভিন্ন ঔষধি উপাদান জোগানের চেয়ে গাঁজার চাহিদা অনেক বেশি। বিষয়টা কানাডার জন্যও সত্য, যেখানে বৈধ বাজারের বাইরেও প্রচুর গাঁজা বিক্রি হয়।
চং বলেন, কালোবাজারের গাঁজা বৈধ বাজারে প্রবেশ করতে পারে না। চিকিৎসাক্ষেত্রে গাঁজা ব্যবহারের আইনি প্রক্রিয়া অনেক দীর্ঘ; একেবারে বীজ থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত তা অনুসরণ করতে হয়। কোনো চারা কেটে ফেলার কাজটি করতে হয় নীতিনির্ধারকদের সামনে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো দেশগুলোর আইনি জটিলতার কারণে চাহিদার চেয়ে জোগানে অনেক পিছিয়ে থাকতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, রোগীদের জরুরি প্রয়োজনের তুলনায় ব্যাপক জোগানস্বল্পতা রয়েছে। গাঁজার বৈধতা দিতে কানাডাকে ১০ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং এখনো তারা নিজের বাজারের চাহিদার জোগান দিতে পারছে না।
চাহিদার ব্যাপকতার কারণে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় উৎপাদকদের সঙ্গে জ্যাকানা অংশীদারিত্বের কথা ভাবছে বলে জানান চং।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গাঁজা

২২ জানুয়ারি, ২০২২
২২ জানুয়ারি, ২০২২
আমার এক নিকটাত্মীয় মদ-গাঁজা সেবন করত। স্বামী-স্ত্রী প্রায় সময়মই ঝগড়া হতো, স্বামী তার স্ত্রীর গায়ে অনেক সময় হাত তুলত। স্ত্রীও খুব বেশী একটা ছাড় দিত না। আবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য পুরুষের সাথে দীর্ঘ দিন রাতে-বিরাতে গোপন ফোনালাপের অভিযোগ ছিল। তাদের দুই ছেলে আছে। স্বামী তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক একাউন্টে ১৫-১৮ লাখ টাকার সম্পদ রেখেছিল। স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়ে সেগুলো হাত করে নেয় এবং নেশাখোর স্বামীর সংসার করবেনা বলে জানায়। এ অবস্থায় কয়েকটি ব্যর্থ আলোচনা বা বৈঠক হয়। প্রায় এক বছরের বেশী সময় পর স্ত্রী ওই স্বামীকে এক উকিলের মাধ্যমে ডাকযোগে ডিভোর্সলেটার পাঠায়। স্বামী বলে সে ওই লেটার রিসিভ ও সাইন করেনি। এর প্রায় এক বছর পর তার স্ত্রী ওই গোপন ফোনালাপের অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই বিয়ে করে। প্রশ্ন হলো স্ত্রীর এ তালাক ও পরবর্তী বিয়ে ইসলামের বিধান মতে সঠিক ভাবে হয়েছে কি না? আর না হলে এখন করনীয় কি?
১১ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ