বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভারতীয় হাই কমিশন-এর অঘোষিত ধীরে চল নীতির কারনে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক হাজার ভিসা প্রত্যাশীর পাসপোর্ট আটকে আছে। কোন কোন ভিসা আবেদনকারীর পাসপোর্ট ‘ভারতীয় ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার’এ জমা দেয়ার দেড় মাসাধিককাল পড়েও তা ফেরত দেয়া হচ্ছেনা বলেও অভিযোগ করেছেন একাধিক ভিসা প্রত্যাশী। এমনকি অনেক আবেদনকারী বরিশালে ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আবেদন জমা দিয়ে যাতায়াতের জন্য রেল ও আকাশপথে টিকেট সংগ্রহ করলেও পাসপোর্টই ফেরত পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে বিপুল অর্থব্যয়ে সংগ্রহ করা ঐসব টিকেটের টাকাও এখন বাজেয়াপ্তের পথে বলে জানিয়েছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে গতকালও বরিশালে ‘ভারতীয় ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার-অইভিএসি’তে একাধিক আবেদনকারী যোগাযোগ করলেও সেখান থেকে কোন সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ভিসা প্রত্যাশী। এপ্লিকেশন সেন্টার থেকে আবেদনকারীদের ঢাকাস্থ আইভিএসি’র ওয়েব মেইলে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া ছাড়া আর কিছুই বলা সম্ভব হয়নি। এমনকি শুধুমাত্র ‘ভারতীয় দূতাবাস ও ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারের সার্ভারে ত্র“টি’র কথা জানিয়ে দেড় মাস আগের আবেদনকারীদের পাসপোর্টও এখনো ডেলিভারী দেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান হয়।
বরিশালে ভারতীয় ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারটিতে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার পাসপোর্টধারীগন আবেদন করে থাকেন। সেক্ষেত্রে প্রতিদিনই পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালীর দূরবর্তী এলাকার শত শত ভিসা আবেদনকারীগন এ অফিসে এসে ধর্ণা দিচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেক মুমূর্ষ রোগীও রয়েছেন। বিগত মাসাধিককাল ধরে বরিশাল ভিসা আবেদন কেন্দ্রে এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলেও তার কোন প্রতিকার বা উত্তরন নেই বলেও অভিযোগ করেছেন একাধিক ভিসা প্রত্যাশী। বরিশাল ভিসা আবেদন কেন্দ্রে কাগজপত্র সহ পাসপোর্ট জমা দেয়ার পরে তা ঢাকায় পাঠান হয়। সেখান থেকে ভিসা মঞ্জুরের পরে তা আবার বরিশালের আবেদন কেন্দ্র থেকেই পাসপোর্টধারীদের ফেরত দেয়া হয়ে থাকে।
বিষয়টি নিয়ে বরিশালে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের ল্যান্ডফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ টেলিফোন ধরেননি।
তবে একাধিক অসমর্থিত সূত্রের মতে, অতি সম্প্রতি কাশ্মীর সীমান্তে পাক-ভারত সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন থেকে ভিসা প্রদানের ব্যাপারে যথেষ্ট কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। অনেক আবেদনকারীদের পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকের পাসপোর্ট মাসাধিককালও আটকে রাখা হচ্ছে। ফলে জিয়ারত, চিকিৎসা ও ভ্রমনের জন্য ভারত গমনেচ্ছুগন যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এদের অনেকেই রেল ও আকাশ পথে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে আগাম টিকেট সংগ্রহ করে এখন উভয় সংকটে। এসব টিকেট ফেরত দিলেও সিংহভাগ অর্থ কেটে রাখা হবে এয়ারলাইন্সগুলো থেকে।
গতকাল বরিশালে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের সামনে এ ধরনের একাধিক নারী-পুরুষের সাথে কথা হলে সকলেই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদের মধ্যে অনেকেই জানান, আমরা বিগত ৩০ বছরেরও বেশী সময় ধরে ভারতে যাচ্ছি। কোনদিন ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় সেখানে অবস্থানও করিনি। কিন্তু এবার রেল ও আকাশপথে যাতায়াতের টিকেট সংগ্রহ করে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছি। এদের সকলেই বিষয়টি স্পষ্ট করার দাবী জানিয়ে বলেন, ভিসার জন্য ভারতীয় দূতাবাস ৮শ টাকারও বেশী ফি নিচ্ছে, সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে পাসপোর্ট আটকে রাখছে। অনেকের পাসপোর্ট দীর্ঘদিন আটকে রাখার পরে ভিসা ছাড়াই ফেরত দিচ্ছে। এঘটনাকে অনিয়ম ও অবিচার বলেও মন্তব্য করেন অনেক ভিসা প্রত্যাশী। ভিসা প্রদান না করা হলে উপযুক্ত কারণ দর্শিয়ে অবিলম্বে পাসপোর্টটি ফেরত দেয়ারও দাবী জানিয়েছেন এসব আবেদনকারীগন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।