Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অদম্য মেধাবীদের কথা দিনমজুরের কাজ করে জিপিএ-৫ পেলো ফয়সাল

প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাটোর জেলা সংবাদদাতা
হতদরিদ্র দিনমজুর বাবা মো. ফয়েজ উদ্দিন ও গৃহিণী মা মোছাঃ রেহেনা পারভিনের একমাত্র সন্তান ফায়সাল আহমেদ এবারে নাটোর সদরের ছাতনী হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার বাবা আগে রিক্সা চালাতেন। শহরে ইঞ্জিনচালিত রিক্সা ও ভ্যানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পা চালিত রিক্সা চালনো বাদ দিয়ে বাধ্য হয়েই তিনি এখন দিনমজুরের কাজ করেন। এই আয় দিয়ে তিনজনের সংসারের যাবতীয় খরচ ও ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছেন কোনভাবে। ছোটবেলা থেকে কঠোর দারিদ্র্যতার মধ্য দিয়ে ফয়সাল বড় হয়েছে। খেয়ে না খেয়ে লেখাপড়া করেছে। স্কুলে যাওয়ার মতো ভালো এক সেট পোশাকের জন্য অনেক বায়না করেও বাবা-মা তা পূরণ করতে পারেননি। পরিবারের আর্থিক কষ্টের কারণে নানা আর মামাদের সহযোগিতায় তাকে লেখাপড়া করতে হয়েছে। বই-পত্রসহ যাবতীয় খরচ তারাই করেন। স্কুলের শিক্ষকরা তাকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ সহ সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। স্কুলের দরিদ্র তহবিল থেকে পরীক্ষার ফি’র ব্যবস্থাও করেছেন তারাই। ফয়সালের প্রাইভেট পড়ার আর্থিক সংগতি না থাকায় শিক্ষকরা বেতন ছাড়াই তাকে পড়াতেন। এমনকি তার প্রয়োজনীয় সকল টেস্ট পেপারস এবং নোটও পেয়েছে শিক্ষকদের কাছ থেকে। আর্থিক সমস্যা হলে প্রায়ই শিক্ষকদের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে বাবার সাথে সে মাঠে দিনমজুরের কাজ করতো। এতো অভাবের মধ্যেও সে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়ার পর এবারে এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ পেয়েছে। ফয়সাল ভবিষ্যতে ডাক্তারি পড়তে চায়। সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খাওয়া হতদরিদ্র বাবা ছেলের ডাক্তারি পড়ানোর প্রস্তুতি নিতে ভালো কোন কলেজে কি ভাবে পড়াবেন সেটা ভেবেই হতাশ হয়ে পড়ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অদম্য মেধাবীদের কথা দিনমজুরের কাজ করে জিপিএ-৫ পেলো ফয়সাল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ