Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনলাইন ডনের নিবন্ধ : ভারত-পাকিস্তানে কী শান্তি ফিরবে?

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৯, ১:০৯ পিএম

দেশে ফিরেছেন পাকিস্তানে আটক ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। এ ঘটনায় চির বৈরি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা কমে আসবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এখন পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠার এ চেষ্টাকে দেখা হচ্ছে একতরফা হিসেবে। কারণ, ভারতের পক্ষ থেকে এমন কোনো বার্তা এখনও দেয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তান দাবি করেছে শুক্রবারও তাদের দখলে থাকা আজাদ জম্মু-কাশ্মিরে বেপরোয়াভাবে গোলা নিক্ষেপ করেছে ভারতীয় বাহিনী। এতে একজন টিনেজার নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিনজন। তারা সবাই সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে যেকোনো আগ্রাসনের অবশ্যই জবাব দেবে পাকিস্তান- পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলো ও চীনকে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া। শুক্রবার যখন পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের কাছে ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া চলছিল তখন তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক প্রধান, রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা বলেন। আলাদা আলাদাভাবে তিনি ফোন করেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার, ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রধান, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রধান, পাকিস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও চীনের রাষ্ট্রদূতদের। পরে তার হয়ে টুইট করেন মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। তাতে জানিয়ে দেয়া হয়, সেনাপ্রধান জানিয়ে দিয়েছেন আত্মরক্ষার্থে যেকোনো আগ্রাসনের অবশ্যই জবাব দেবে পাকিস্তান।
ওই ফোনকলে জেনারেল বাজওয়া সৃষ্ট অচলাবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন। আলোচনা করেছেন, এ ঘটনায় আঞ্চলিক শান্তির স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব নিয়ে।
ভারতীয় দুটি যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় পাকিস্তানের বিমান বাহিনী তা গুলি করে ভূপাতিত করে। এর পর থেকেই পারমাণবিক শক্তিধর এই দুটি দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দেয়। চারদিকে গা হিম করা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে থাকে। উভয় পক্ষকে বিরত থাকার আহ্বান আসতে থাকে সারা বিশ্ব থেকে। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আকস্মিক ঘোষণা দেন, শান্তির লক্ষ্যে তিনি মুক্তি দেবেন আটক পাইলট অভিনন্দনকে। এর পরদিন শুক্রবারই তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

অন্যদিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীকেই রাখা হয় উচ্চ সতর্ক অবস্থায়। বৃহস্পতিবার ভারতের তিন বাহিনী মিডিয়ার সামনে ব্রিফিং করে। তারাও ভবিষ্যতের কোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কমর জাভেদ বাজওয়া শুক্রবার ফোন করেন বিভিন্ন সামরিক প্রধান ও রাষ্ট্রদূতদের।
অনলাইন ডন লিখেছে, শুক্রবার সকাল থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখার কোটলি জেলা শান্ত ছিল। কিন্তু বিকেলে তা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কারণ, ওই সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারি মর্টার ও শেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এর জবাবে পাকিস্তান কোনো গোলা ছুড়েছে কিনা তা জানা যায় নি। তবে শান্তি স্থাপনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যে কৌশল অবলম্বন করেছেন তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে ফেরত দেয়ার পর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই উত্তেজনা কমে আসার কথা বলে মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ