পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিগৃহীত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তাদের মানবিক আশ্রয় দেয়ার জন্যই কি বাংলাদেশকে মূল্য দিতে হচ্ছে? জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এক বিশেষ সভায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে এই প্রশ্ন করেছেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে এক বিশেষ সভায় তিনি এ কথা বলেন বলে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের ফেব্রুয়ারি মাসের সভাপতি ইকোটরিয়াল গিনি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনার তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরের বিষয়ে ব্রিফ করেন। সেই সাথে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের বাইরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সভায় বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্র সচিব নিরাপত্তা পরিষদ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে বলেন, আমাদের পূর্ণ আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্তে¡ও মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ার কারণে দীর্ঘদিনেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কাজ শুরু করা যায়নি। এ থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে? রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন ছাড়া বাংলাদেশ আর কিছু চায় না।
তিনি অরো বলেন, আমাদের পূর্ণ আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্তে¡ও মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ার কারণে দীর্ঘদিনেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কাজ শুরু করা যায়নি। এ থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে? প্রতিবেশী দেশের নাগরিক যারা নিজ দেশে বর্বরোচিত নৃশসংতা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুুতির শিকার, এমন নিগৃহীত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা স¤প্রদায়ের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তাদের মানবিক আশ্রয় দেয়ার জন্যই কি বাংলাদেশকে মূল্য দিতে হচ্ছে?
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিনি নিরাপত্তা পরিষদের বিবেচনার জন্য তিনটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এগুলো হলো- কফি আনান অ্যাডভাইজরি কমিশনের সুপারিশগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন, নিরাপত্তা পরিষদের পুনরায় কক্সবাজার ও রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত অসামরিক ‘সেফ জোন’ সৃষ্টি করা।
শহিদুল হক আরো বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা-প্রণোদিত, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন ছাড়া আর কিছুই চাই না। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমরা নিরাপত্তা পরিষদের অব্যাহত অভিভাবকত্ব প্রত্যাশা করি।
এছাড়া, প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া প্রস্তাব দেন পররাষ্ট্র সচিব। যার মধ্য রয়েছে- রোহিঙ্গাদের ওপর সৃষ্ট সহিংসতা ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুুতির ঘটনার দায়বদ্ধতা নিরূপণ, ইউএনএইচসিআর ও ইউএনডিপির সাথে মিয়ানমারের হওয়া ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক পূর্ণ বাস্তবায়ন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অবস্থিত আইডিপি ক্যাম্পগুলো তুলে নেয়া ও সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া।
এদিকে আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনার বলেন, সংকট সমাধানে দৃশ্যমান পদক্ষেপ অত্যন্ত ধীর গতির হলেও আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের পূর্ণ সহযোগিতায় এর সমাধান সম্ভব হতে পারে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাথে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি উঠে আসে রোহিঙ্গা সংকট। দীর্ঘমেয়াদি এ সমস্যার বিষয়ে মহাসচিব উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদারতা ও মানবিকতা দেখিয়েছেন তার উচ্ছ¡সিত প্রশংসা করেন। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে যে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি সাধন করে চলেছে তারও প্রশংসা করেন গুতেরেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।