পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে। আর যখনই জনগণের ঐক্য হয়েছে, স্বৈরাচারের তখনই পতন হয়েছে। বাংলাদেশে স্বৈরাচারের কোনো ঠাঁই হতে পারে না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় ‘জনগণ ক্ষমতার মালিক দিবস’ পালন করার প্রস্তাব দেন।
ড. কামাল বলেন, এখানে মঞ্চে যারা বসে আছেন যদি সবাই রাস্তায় নামেন, আমি বিশ্বাস করি, আপনারা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন প্রত্যেক শহরে, প্রত্যেক জেলায় মানুষ এভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমবেত হবে। তাদের যদি আমরা এই কথাগুলো বলতে পারি যে, আপনারা সবাই ক্ষমতার মালিক, আর মালিকের ভূমিকা রাখার জন্য প্রস্তুত হন; তবে এই স্বৈরাচার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। যখনই জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, স্বৈরাচার যতই হুমকি-ধমকি দিয়েছে তাদের বিদায় নিতে হয়েছে, অপমানিত হতে হয়েছে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ও গ্রামের বাড়িতে সবাইকে বলেন, মার্চ মাসের যেকোনো একটা দিনে সারা দেশে আমরা অবস্থান করি যে, জনগণ ক্ষমতার মালিক দিবস। এটা আমার পরামর্শ বা উপদেশ বলতে পারেন। আমাদের মালিকানা কেউ নিতে পারেনি, কেউ নিতে পারবে না। আমরা সবাই মালিক হিসেবে পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায়, থানায়-থানায়, জেলায়-জেলায় জনগণ ক্ষমতার মালিক দিবস পালন করি। দেখি না কে কী করে?
তিনি বলেন, আমরা যদি ক্ষমতার মালিক হিসেবে দিবসটি পালন করি, আমরা মালিক হিসেবে শুধু আমাদের অধিকারের কথা বলব না, মালিক হলে তো দায়িত্ব থাকে। আমাদের যেমন ভোটের অধিকার আছে, আইনের শাসন দেশে থাকুক- এটা দাবি করার অধিকার আছে। পাশাপাশি আমাদের কর্তব্য আছে, যারা আমাদের এ অধিকারকে স্বীকার না করে তাদের ব্যাপারে মানুষকে বুঝিয়ে বলার।
তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ দেশটাকে আমাদের মালিকানার দখলে নেব, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নেব। সংবিধানের মধ্য দিয়ে দেশকে শাসন করব। ইনশাআল্লাহ, যে ঐক্যের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই ঐক্যের ভিত্তিতে আমরা দেশকে শাসন করব। জনগণ এ দেশে মালিকের ভূমিকায় অবশ্যই থাকবে।
জেএসডি সিনিয়র সহসভাপতি এম এ গোফরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালন করেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের (একাংশ) মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।