নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ সংস্করণে অনেকটাই উজ্জ্বল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। বিরতিতে হলেও জয়ের ধারায় রয়েছে মতিঝিলের দলটি। আগের ম্যাচে শিরোপা প্রত্যাশি বসুন্ধরা কিংসকে প্রায় রুখে দিয়েছিল আরামবাগ। এবার লিগে নিজেদের নবম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে হারালো তারা। গতকাল ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে তাদের জয়টি ২-১ ব্যবধানে। আরামবাগের জাহিদ দু’গোল দিলে মুক্তিযোদ্ধার হয়ে একমাত্র গোলটি শোধ দেন ইভান। এই জয়ে নয় ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার পঞ্চমস্থানেই রইলো আরামবাগ। আট ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার অবস্থান সপ্তমে। একই দিন নোয়াখালীর শহীদ বুলু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগের আরেক ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি ১-০ গোলে হারায় টিম বিজেএমসিকে।
ঘরোয়া লিগের পারফরম্যান্স দেখেই নাকি কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের জন্য ২৭ ফুটবলার বাছাই করেন জাতীয় দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। অথচ সেই দলে জায়গা হয়নি আরামবাগ মিডফিল্ডার জাহিদের। এতে অবশ্য আক্ষেপ নেই তার। ক্লাবকে নিজের সেরাটা দিতে পেরেই খুশি তিনি। লিগে আরামবাগের হয়ে আরো গোল করতে চান। কোচ জেমি ডে’কে দেখিয়ে দিতে চান যে, এখনও ফুরিয়ে যাননি জাহিদ। ময়মনসিংহে কাল ম্যাচের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধার ওপর চাপ প্রয়োগ করে খেলতে থাকে আরামবাগ। আক্রমণের ফল তারা পায় ম্যাচের ১৩ মিনিটেই। এসময় বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে গোল করেন জাহিদ (১-০)। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে মুক্তিযোদ্ধাও। তবে প্রথমার্ধে তারা সমতায় ফিরতে পারেনি। এগিয়ে থেকে আরামবাগ বিরতি গিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি গোল আদায় করে নেয়। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে সেই জাহিদের গোলেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা (২-০)। ৬৬ মিনিটে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মুক্তিযোদ্ধার ইভান। একক নৈপুণে গোল করে ব্যবধান কমান (১-২)। তবে গোল হজমের পর সতর্ক আরামবাগ নতুন রণকৌশল আঁটে। রক্ষণে জোর বাড়িয়ে আক্রমণে ওঠে তারা। মুক্তিযোদ্ধাও গোল করার চেষ্টায় থাকে। কিন্তু ম্যাচে আর কোনো গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আরামবাগ।
এদিকে নোয়াখালীতে এসেও জয় অধরাই রইল টিম বিজেএমসির। রহমতগঞ্জের সঙ্গে ম্যাচের শুরু থেকে সমান তালেই লড়াই করেন বিজেএমসির খেলোয়াড়রা। ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধও গোলের চেষ্টা চালাতে থাকে দু’দল। অবশেষে ৭৭ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন রহমতগঞ্জের কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিও জুনাপিও। দারুণ এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন (১-০)। ম্যাচের বাকি সময় আর গোল না হওয়ায় ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রহমতগঞ্জ। আট ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পাওয়া রহমতগঞ্জ তালিকার নবমস্থানে। নয় ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২ নম্বরে বিজেএমসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।