নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দিনটা ছিল শুধুই তার। উইকেটে যখন নেমেছিলেন তখন প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের চেয়ে তখনও ১১৬ রান পিছিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। কিন্তু মিরপুরে গতকাল ঝড় তুললেন জিয়াউর রহমান। শুধু ঝড় তুলেই ক্ষান্ত হননি। মাঠ ছেড়েছেন ম্যাচ জিতিয়ে, বুক চিতিয়েই। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও। আর তাতেই ৫ উইকেটের জয় নিয়ে প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফাইনালে ধানমন্ডির ক্লাবটি।
লক্ষ্য তাড়ায় শেখ জামালের দলীয় ৬৫ রানেই পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারানোয় শঙ্কা জমেছিল একশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার। যদিও শুরুটা খারাপ করেনি তারা। ২৯ রানের ওপেনিং জুটির পর স্কোরবোর্ডে ৩৬ রান যোগ করতেই পাঁচ উইকেট হারায় তারা। অথচ টপ অর্ডারের সব ব্যাটসম্যানই উইকেটে সেট হয়ে আউট হয়েছেন। ইনিংস লম্বা না করতে পারাতেই চাপে পড়েছিল তারা। চাপে থাকা দলের হাল অধিনায়ক সোহানের সঙ্গে নিয়ে ধরেন জিয়া। ষষ্ঠ উইকেটে জুটিতেই বদলে যায় সবকিছু। দারুণ ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ১১৭ রান যোগ করে জয় তুলেই মাঠ ছাড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান। ফলে ১৪ বল ও ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় দলটি।
মাত্র ২৯ বলে ৭২ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জিয়া। এদিন চারের চেয়ে ছয় মারার দিকেই মনযোগী ছিলেন এ অলরাউন্ডার। ৪টি চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা মারেন তিনি। হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেছিলেন মাত্র ২১ বলে। ৩১ বলে হার না মানা ৪৩ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন অধিনায়ক সোহান। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। শাইনপুকুরের পক্ষে ৩১ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান সোহরাওয়ার্দী শুভ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শাইনপুকুরের। স্কোরবোর্ডে কোনো রান না তুলতেই মোহাম্মদ রাকিবকে হারায় দলটি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার সাব্বির হোসেনকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রæব। গড়েন ১১৩ রানের জুটি। তাতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি।
এরপর অবশ্য দ্রুতই ফিরে যান এ দুই ব্যাটসম্যান। তবে চতুর্থ উইকেটে তৌহিদ হৃদয়ের আরও একটি দারুণ জুটিতে লড়াকু সংগ্রহ পায় শাইনপুকুর। স্কোর বোর্ডে ৫৭ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান সংগ্রহ করে দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ। ৪১ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেছেন অধিনায়ক। ৩২ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন সাব্বির। এছাড়া শুভাগত হোম ৩১ ও তৌহিদ ২৪ রান করেন। শেখ জামালের পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন সালাউদ্দিন শাকিল। ২৮ রানের খরচায় নিয়েছেন ৪টি উইকেট। শহিদুল ইসলাম পান ২টি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শাইনপুকুর : ২০ ওভারে ১৮১/৭ (রাকিব ০, সাব্বির ৪৭, আফিফ ৬৫, তৌহিদ ২৪, শুভাগত ৩১, দেলোয়ার ০, ধীমান ৬, সোহরাওয়ার্দী ১; শাকিল ৪/২৮, নাসির ০/২৪, শহিদুল ২/২৫, এনামুল ০/৩৩, জিয়াউর ০/৩১, সানি ১/২৭, তানবির ০/১১)
শেখ জামাল : ১৭.৪ ওভারে ১৮২/৫ (ইমতিয়াজ ১১, ফারদীন ২২, হাসানুজ্জামান ১৩, নাসির ১৬, সোহান ৪৩*, তানবির ০, জিয়া ৭২*; শরিফুল ০/৩৭, শুভাগত ০/১৩, হামিদুল ০/৩৭, সোহরাওয়ার্দী ২/৩১, টিপু ১/২৩, দেলোয়ার ১/৪১)।
ফল : শেখ জামাল ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : জিয়াউর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।