Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাখিতার পথ, স্বপ্ন নাকি দুঃস্বপ্ন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

আরাকানদের স্বপ্ন – ‘দ্য ওয়ে অব দ্য রাখিতা’র কোন একক সংজ্ঞা নেই, কিন্তু আরাকানদের সংগঠিত করার ব্যাপারে এর অন্তর্নিহিত বার্তাটা অত্যন্ত শক্তিশালী। আরাকান আর্মি জেনারেল তোয়ান মিয়াত নাইং এককালের মহান আরাকান রাজ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাখিতার প্রতি যে আবেদন জানাচ্ছেন, সেটা আরাকানের জনগণকে যেভাবে উদ্বুদ্ধ করছে, মিয়ানমারের সরকারের শান্তির আহ্বান সেটা করতে পারছে না। কিন্তু এই শক্তিটার কারণের আরাকানের মানুষ হয়তো আগামী বছরগুলোতেও দুর্ভোগের ভেতর দিয়েই চলতে থাকবে। ২০১১ সাল থেকে আরাকান আর্মি (এএ) আর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর (তাতমাদাও) মধ্যে যুদ্ধ চলছে। রাখাইন রাজ্যে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আরাকান আর্মি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এ যুদ্ধ চলে আসছে। তবে আরাকান আর্মির আকার বেড়েছে এবং সেই সাথে সঙ্ঘাতের তীব্রতাও বেড়েছে। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে আরাকান আর্মি বুথিদাউং টাউনশিপে বর্ডার গার্ড পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং পুলিশের ১৩ সদস্য নিহত হয়। আহত হয় আরও নয়জন। আরাকান আর্মি কয়েক ডজন ক্ষুদ্রাস্ত্র এবং হাজার হাজার গুলিও হস্তগত করেছে। জবাবে সরকার আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে তাদের নির্মূল করার নির্দেশ দিয়েছে। তাতমাদাও আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান ও শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানে কিয়াউকতাউ, পোনেনুগান, রেখেদাউং এবং বুথিদাউং টাউনশিপ থেকে ৫ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছে। আরাকান আর্মি আর তাতমাদাওয়ের কারণে বিপদে পড়েছে বিশেষভাবে নারী শিশুসহ আরাকানের সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে শুধু আরাকানীরাই নেই, রয়েছে রোহিঙ্গারাও যাদের বিপুল একটি অংশ ২০১৭ সালে তাতমাদাওয়ের নির্মূল অভিযান থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আরাকানের জনগণের মধ্যে আরাকান আর্মির কেন এই জনপ্রিয়তা? আরাকান আর্মি যে সময় সঙ্ঘাতের সূচনা করেছে এবং সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষের কারণে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়িছাড়া হয়েছে, এ অবস্থায় মিয়ানমার সরকার আরাকানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু এইসব বিনিয়োগ আর শান্তির প্রস্তাব আরাকানীদের কাছে ফাঁপা শোনায়, কারণ তারা তাদের ঐতিহাসিক দুঃখ কষ্ট আর বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার কথা ভুলে যায়নি। সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ