Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পিয়ংইয়ংয়ের নীতি-অবস্থানে পরিবর্তন আসবে না

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং-হো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার দেশের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসতে চাইলেও পিয়ংইয়ংয়ের নীতি-অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসবে না। ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের মধ্যকার দু’দিনব্যাপী শীর্ষ বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর একথা জানালেন রি। বৃহস্পতিবার কোনো ফলাফল বা সমঝোতা ছাড়াই বৈঠক শেষ হওয়ার পর ট্রাম্প বলেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নেয়ার দাবি মেনে নেননি। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কিম জং-উন উপস্থিত থাকলেও তিনি কোনো বক্তব্য দেননি। এরপর রাতে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, শীর্ষ বৈঠকে তার দেশ নিষেধাজ্ঞার আংশিক প্রত্যাহার চেয়েছিল, পুরোপুরি তুলে নেয়া নয়। বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর কিম জং-উন সাংবাদিকদের উদ্দেশে কোনো কথা বলেননি। রি বলেন, তার দেশ আলোচনায় বেশ কিছু ‘বাস্তবসম্মত’ প্রস্তাব দিয়েছিল যার মধ্যে ছিল উত্তর কোরিয়ার প্রধান পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ইয়ংবিয়নকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের তত্ত¡াবধানে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করা। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দেশের আস্থা যে পর্যায়ে রয়েছে তার ভিত্তিতে এটি ছিল পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে সবচেয়ে বড় ছাড়। রি বলেন, এর বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া ততটুকু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়েছিল যতটুকু দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনযাপনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তার দেশ পরমাণু অস্ত্র ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা স্থায়ীভাবে বন্ধ করারও প্রস্তাব দিয়েছিল। কাজেই হ্যানয় শীর্ষ বৈঠকের মতো আবার আরেকটি আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এমনকি যুক্তরাষ্ট্র যদি ভবিষ্যতে আবার আলোচনার টেবিলে বসতে চায় তারপরও আমাদের মৌলিক নীতি-অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে এবং আমাদের প্রস্তাবনা কখনোই পরিবর্তিত হবে না।” কোরীয় উপদ্বীপের নিরস্ত্রীকরণে হ্যানয় সম্মেলনের মতো আর কোনো সুযোগ শিগগিরই দেখা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য উত্তরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। “ভবিষ্যতের আলোচনাতেও যুক্তরাষ্ট্র যতই প্রস্তাব দিক না কেন, আমাদের মূল অবস্থান সামনের দিনেও অপরিবর্তনীয় থাকবে, আমাদের প্রস্তাবও বদলাবে না,” বলেন রি। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার দুইদিনের বৈঠক কোনো সমঝোতা ছাড়া শেষ হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘পিয়ংইয়ং সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্ত দিয়েছে’ বলে জানিয়েছিলেন। “সবকিছুই হয়েছে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে। তারা চেয়েছে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার, যা আমরা করতে পারছি না। মাঝে মাঝে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হয়, এটি ছিল তেমনই একটি সময়,” বলেছিলেন তিনি। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের সঙ্গে আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলমান থাকবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার পথে তিনি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুই নেতার সঙ্গে ১৫ মিনিট করে কথা বলেছেন বলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, দুই দেশের কর্মকর্তারা ‘দেরি হওয়ার আগেই’ নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে ফের আলোচনা শুরু করবে বলেই তার প্রত্যাশা। “সামান্য সময় লাগতে পারে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের ফের একত্রিত হতে একটু সময় লাগবে ,” বলেছেন তিনি। পার্সটুডে, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ