বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শীর্ষ ২০ ঋন খেলাপির তালিকা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের টেবিলে উখাপিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তালিকা প্রকাশ করেন। তালিকায় রযেছেন- কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম লিমিটেড, সামানাজ সুপার ওয়েল লিমিটেড, বি আর শিপিং মিলস, সুপ্রভ ফুটওয়ার, রাইজিং স্ট্রিল, কম্পিউটার সোর্স লিমিটেড, বিনিটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ম্যাক্স শিপিং মিলস, এস এ ওয়েল রিফাইনারী লিমিটেড, রুবিয়া ভেজিটেবল ওয়েল, আনোয়ারা শিপিং মিল, ক্রিসেন্ট লেদার মিলস, সুপ্রভ রোটর শিপিং, ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ, চৌধুরী নিটওয়ারস, সিদ্দিক ট্রেডার্স, রুপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার, অ্যালপা কম্পোজিট টাওয়েলস এবং এম এম ভেজিটেবল ওয়েল প্রডাক্টস লিমিটেড। অর্থমন্ত্রী বলেন,দেশে বর্তমানে (ডিসেম্বর, ২০১৮ ভিত্তিক) ঋণ খেলাপীর সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ১১৮। মহামান্য হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার কারণে উক্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্তির যোগ্য কিছু সংখ্যক ঋণ খেলাপী প্রতিষ্ঠানের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপী ঋণের পরিমাণ ৪৪ হাজার ১৮৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের খেলাপী ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এই ব্যাংকটির খেলাপী ঋণের পরিমাণ ১২ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেলাপী ঋণ থাকা ব্যাংক হলো জনতা ব্যাংক লিমিটেড। এই ব্যাংকের খেলাপী ঋণের পরিমাণ ১২ হাজার ২২ কোটি টাকা। সরকার দলীয় এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংক লিমিটেডে খেলাপী ঋণের পরিমাণ ৮ হাজার ৪৪১ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকে ৫ হাজার ৬৮৪ কোটি, রূপালী ব্যাংকে ৪ হাজার ৮৭০ কোটি এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের খেলাপী ঋণের পরিমাণ ৭৭৯ কোটি টাকা।
মন্ত্রী জানান, খেলাপী ঋণ কমানোর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। খেলাপী ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে বিদ্যমান আইনসমূহ পর্যালোচনা ও সংস্কারের নিমিত্তে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হয়েছে। এছাড়া আইনি কাঠামোর আওতায় খেলাপী ঋণ আদায় প্রক্রিয়া গতিশীল করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের নিমিত্তে ইতোমধ্যে আইন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, তফসিলি ব্যাংকসমূহ এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের মধ্যে সভা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ বাবদ এক হাজার ৪০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ ১১ হাজার ৬১০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। উক্ত পরিশোধিত অর্থের মধ্যে আসল বাবদ ৯ হাজার ১৪৩ কোটি এবং সুদ বাবদ ২ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। তিনি জানান, বিগত অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থ-বছরে পরিশোধিত ঋণ যথাক্রমে ২০১২-১৩ অর্থ-বছরের তুলনায় শতকরা ৩০ ভাগ, ২০১৩-১৪ অর্থ-বছরের তুলনায় ১৫ ভাগ, ২০১৪-১৫ অর্থ-বছরের তুলনায় ৩৬ ভাগ, ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরের তুলনায় ৪১ ভাগ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় শতকরা ৩১ ভাগ বেশী।
বৈদেশিক ঋণ সাড়ে ৩৩ হাজার মিলিয়ন ডলার
এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের স্থিতির মোট পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ২০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। এছাড়া এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ৮ হাজার ৮৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জাপান ৪ হাজার ৭১৫ মিলিয়ন, ইসলামী ব্যাংক ৫২১ মিলিয়ন, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল ৪৫৩ মিলিয়ন, চীন এক হাজার ৯৯৭ মিলিয়ন, রাশিয়া এক হাজার ২০৫ মিলিয়ন, দক্ষিণ কোরিয়া ৪৩০ মিলিয়ন, ভারত ৩২৪ মিলিয়ন এবং অন্যান্য সংস্থার কাছে বৈদেশিক ঋণ স্থিতির পরিমাণ ৮২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।