বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নির্বাচন কমিশনের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেয়া কমিশনের জন্য অস্বস্তিকর। সিইসি তাঁর এই বক্তব্যে স্বীকার করে নিলেন যে, জনগণ ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নিকট তাঁদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। যেদেশে ভোটের আগের রাতেই ব্যালট পেপারে সীল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়, ভোট চুরি হয়, ভোট দিতে পারে না সেদেশের মানুষ বর্তমান নির্বাচন কমিশন ধিক্কার ছাড়া অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য নয়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায়া নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি জনগণকে ভোট প্রদান থেকে বঞ্চিত করেছেন। তাঁর আজ্ঞাবহ জীবনদর্শনের জন্য গণতন্ত্র এখন রাহুগ্রস্ত। ৩০ ডিসেম্বরে ভোট চুরির মহৌৎসব করে একটা অবৈধ শাসকগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়ে দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার মূল হোতাই হচ্ছেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। কাজেই জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচন কমিশন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে এক অশুভ পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে চায় অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ২৯ ডিসেম্বরে পর এখন শেখ হাসিনা নতুন পাটিগণিত কষছেন। আর সেটি হচ্ছে- দেশের অবিসংবাদিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে দেয়া। অসুস্থ দেশনেত্রীকে টানাহেঁচড়া করে ঘনঘন আদালতে নিয়ে আসা, অন্ধকারাচ্ছন্ন শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে তাঁর জন্য আদালত স্থাপন করা, তাঁর পছন্দমতো চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করতে না দেয়া, তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে না নেয়া, সাত দিন পর পর নিকটাত্মীয়দের সাথে দেখা করতে না দেয়া, আত্মীয়স্বজনদেরকে দেখা করতে দিতে বিলম্ব করা, অস্বাস্থ্যকর ও কীট-পতঙ্গে ভরা কারাকক্ষে থাকতে বাধ্য করা, যে মামলায় অন্যরা জামিন পেয়েছেন সেই একই মামলায় তাঁকে জামিন না দেয়া। এভাবে তাকে অশুভ পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়া।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সূর্যকে অস্তগামী করার জন্যই বেগম জিয়া এখন কারাগারে। বর্বরোচিক একদলীয় কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করার জন্যই বেগম জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থায় ক্রমাগত হস্তক্ষেপের কারণেই বেগম জিয়া এখন কারাগারে। তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে এই মূহুর্তে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া আহ্বান জানান।
গ্যাসের ম‚ল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বলেছেন-গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে। গণবিরোধী সরকারের কাছে জনগণের ইচ্ছার কোন মূল্য নেই। ম্যান্ডেটবিহীন বলেই জনগণের দুঃখ-কষ্টের প্রতি তাদের কোন লক্ষ্য নেই। জনগণের সরকার নয় বিধায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না জনগণ। এটি ক্ষমতাসীনদের জন্য আরেকটি লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এমনিতেই তীব্র গ্যাস সংকটে গ্রহিতারা প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েছে। এর ওপর গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণায় এই জ্বালানীর ওপর নির্ভরশীল জনগণের জীবন দূর্বিষহ হয়ে পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।