বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী উন্নয়ন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করবে চায়নার বৃহত্তর কোম্পানি চায়না পাওয়ার। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, পদ্মা নদীরধারে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে গড়ে তোলা হবে বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা। রাজশাহীতে জেনারেল এবং স্পেশালাইজ হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন এবং টেকনিক্যাল সুবিধা বাড়ানো হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হবে। নগর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। এরমধ্যে গণপরিবহণ, রাস্তা, রাস্তার আলোকায়ন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভার করা হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে পাওয়ার চায়না কোম্পানির একটি প্রতিনিধি দলের সভা গতকাল দুপুরে নগরভবনের মিনি কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
এ ব্যাপারে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়না রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জ্যুয়ো রাজশাহীতে এসে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছিলেন। এরপর তিনি চায়না বৃহত্তর একটি কোম্পানি পাওয়ার চায়নাকে আমার কাছে পাঠান। গত ৩১ জানুয়ারি কোম্পানিটির সাথে আমরা প্রথম মিটিং করি। রাজশাহীর উন্নয়নে অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারাও মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা অর্থসহ সব কিছু ইনভেস্ট করবে।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আশা প্রকাশ করে বলেন, যে মাস্টারপ্লান হচ্ছে, সেটা বাস্তবায়ন হলে পুরো রাজশাহীর ব্যাপক উন্নয়ন হবে। মাস্টারপ্ল্যানের পাশাপাশি আরো অনেক উন্নয়ন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাসিক, অন্যান্য সহযোগী সংস্থা এবং পাওয়ার চায়নার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এরপর পাওয়ার চায়নার সাথে আবারো আলোচনার পর এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে।
মিটিংয়ে চায়না প্রতিনিধি দলের মি. এ্যান্ডুসনহ অন্যান্যরা অংশ নেন। আলোচনা সভায় সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক,প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।