বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এশিয়ার বিখ্যাত প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর হাটহাজারী এলাকা ভাঙন প্রতিরোধে ২১২ কোটি ৭৯২ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে হালদার দুই পাড়ে ভাঙনরোধে বেশির ভাগ অংশে পাথরের ব্লক বসানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে কাজ চলমানও রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায় হালদা নদীর পাড় রক্ষায় হাটহাজারী উপজেলা ও রাউজান উপজেলার হালদার পাড়ের অংশে পাথরের ব্লক বসানো কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। হাটহাজারী উপজেলার মাদার্শা গড়দুয়ারা মেখল নয়াহাট এলাকাসহ কিছু কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে পাথরের ব্লক বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। যেসব এলাকায় কাজ শেষ হয়েছে সেসব এলাকায় নদী ভাঙনরোধের পাশাপাশি এলাকাগুলো দর্শনীয় হয়ে ওঠেছে। এলাকার মানুষ হালদার পাড়ে এখন পড়ন্ত বিকালে বসে গল্প ও প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করে। কেউ কেউ গোসল করছে হালদা নদীতে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে প্রকল্পের কাজ চলছে। এদিকে মদুনাঘাট থেকে নাজিরহাট পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে প্রায় শেষ প্রান্তে।
২০১৫ সালে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় ‘হালদার ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে হাটহাজারী’ শিরোনামে পরপর বেশ কয়েকটি সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে সরকার সেদিকে নজর দিয়ে হালদার ভাঙনরোধ কল্পে প্রকল্পটি শুরু করেন। এই জন্য সহযোগিতা করেন হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার দুই প্রাণ পুুরুষ উন্নয়নের কান্ডারি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি ও এ.বি.এম. ফজলুল করিম চৌধুরী এমপির প্রচেষ্ঠায় হালদাবাসী আজ হাঁসছে। হালদার ভাঙন রোধ কল্পের পাশাপাশি মদুনাঘাট হতে নাজিরহাট পর্যন্ত দীর্ঘ ২৮ কিলোমিটার এলাকায় হালদা নদীর পাশ দিয়ে বেরিবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে হালদা পাড়ের বসতি রক্ষা এবং বর্ষা মৌসুমে ফসলি জমি, ফসল রক্ষা এবং নদী ভাঙনরোধের জন্য সরকার হালদা নদীর এই প্রকল্প গ্রহণ করেন। ২১২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্তাবধানে প্রকল্পের কাজ উদ্ভোধন করেন ২০১৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তৎকালীন হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার সংসদ সদস্য যথাক্রমে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এবি.এম ফজলুল করিম চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর পক্ষে ছিলেন ছিদ্দিকুর রহমান।
প্রকল্পের কাজ শেষ হলে মদুনাঘাট থেকে নাজিরহাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ বিকল্প রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এতে প্রকল্প এলাকার লোকজন নিজ নিজ প্রয়োজনে গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়া বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ী ঢলের পানি লোকালয়ে ডুকতে পারবে না। এতে করে এলাকাবাসী বন্যার কবল হতে রক্ষা পাবে ও জমির ফসল নষ্ট হবে না। ইরি বোরো মৌসুমে হালদার পানি দিয়ে প্রকল্প এলাকার আশে পাশে চাষাবাদের সুবিধা হবে। মদুনাঘাট হতে হাটহাজারী নাজিরহাট আনুমানিক ২৮ কিলোমিটার এলাকার হালদা পাড়ের বসবাসরত মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন যেন বাস্তবে পূরণ হতে চলেছে। হালদার ভাঙনরোধ ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে যান চলাচল করতে পারবে নাজিরহাট হয়ে মদুনাঘাট দিয়ে কাপ্তাই সড়কের উপর নগরীর বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত সুবিধা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।