বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী শানে রেসালত (সাঃ) সম্মেলনের গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্বোধনী দিবসে হেফাজত মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী বলেছেন, নাস্তিক, মুরতাদ ও কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে আজীবন আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। মুসলমানরা নিজের জীবনের চাইতেও মহানবীকে (সাঃ) বেশি ভালোবাসেন। নবীপ্রেম ঈমানদার হওয়ার পূর্বশর্ত। আকীদায়ে খতমে নবুওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফের। ভণ্ডনবী মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অনুসারী আহমদিয়া জামাত নাম দিয়ে সাধারণ মুসলমানদের ঈমান হারা করছে। কুরআন, হাদীস ও উম্মতের ঐক্যমত হলো কাদিয়ানী সম্প্রদায় মুসলমান নয়। তাই এদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, ২০১৩ সালে ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে যারা রক্ত দিয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন, তারা কেবল মহান আল্লাহ ও প্রিয় নবীর (সাঃ) ভালবাসা নিয়ে ইসলামের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। হেফাজতে ইসলাম যে ১৩ দফা দাবি নিয়ে সেদিন ময়দানে নেমেছিল সে দাবি আজও পূরণ হয়নি। ঈমান রক্ষার আন্দোলনে যারা শাহাদত বরণ করেছেন তারা আমাদেরই ভাই, তাদেরকে আমরা ভুলে যেতে পারি না। তিনি বলেন, আলেমরা শান্তি প্রিয়, সমাজে তারা মর্যদাশালী। এরা কোন অন্যায় করেনা। আলেম ওলামাদের সাথে জুলুমের পরিনতি খুব ভয়াবহ। আল্লাহর অলিদের বিরুদ্ধে যারা বিদ্বেষ পোষণ করে, অন্যায় জুলুম করে অল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, আল্লাহর জমিনে নাস্তিকদের থাকার স্থান নেই। শাপলা চত্বরে শহীদদের খুনের বিচার বাংলার সবুজ চত্বরে একদিন হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, আমাদের রাজনৈতিক কোন এজেন্ডা নেই, তাই ধর্মীয় ও ঈমানী কোন বিষয়ে ছাড় দিতে পারিনা। সংবিধানে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস, ধর্ম ও রাসূলের (সাঃ) অবমাননাকারী নাস্তিক-মুরতাদদের শাস্তির জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস এবং কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে সরকারীভাবে অমুসলিম ঘোষণাসহ হেফাজতের তের দফা ঈমানী দাবী বাস্তবায়ন করুন।
অন্যথায় যে কোন কঠিন আন্দোলনের জন্য তৌহিদী জনতা প্রস্তুত রয়েছে।
বাদ জোহর থেকে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে দু’দিনব্যাপী সম্মেলনে চার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা সালাহ উদ্দিন, মাওলানা নোমান ফয়জী, মাওলানা মোহাম্মদ ইদরিস ও মাওলানা লোকমান হাকীম। বক্তব্য রাখেন জামেয় পটিয়ার শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতি আহমদুল্লাহ, দারুল উলুম হাটহাজারীর সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা শায়খ আহমদ, তাহাফফুজে খতমে নবুয়তের মহাসচিব মাওলানা হাফেজ নুরুল ইসলাম, মাওলানা সাজেদুর রহমান, তাবলিগের দায়ী মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, মুফতি কুতুবুদ্দিন, মাওলানা মোস্তাকুন্নবী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আবু বকর, মাওলানা হাজী ইউসুফ, মাওলানা মাহববুর রহমান হানিফ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।