পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যু এক নম্বরে আছে। স্পষ্ট করে বলতে চাই- তাকে লড়াই করেই মুক্ত করতে হবে। গতকাল সেগুনবাগিচার স্বাধীনতা হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘৩০শে ডিসেম্বর এবং অতঃপর’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, এই সরকারের কাছে দাবি করে হবে না, লড়াই করে আদায় করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সেই লড়াই কি আমরা করতে পেরেছি? সেই লড়াই কি কেবল খালেদা জিয়ার মুক্তির লড়াই? সেই লড়াই তো বাংলাদেশের মুক্তির লড়াই, গণতন্ত্রের মুক্তির লড়াই, এখন পর্যন্ত যে সকল নেতাকর্মী জেলে আছেন তাদের মুক্তির লড়াই।
তিনি বলেছেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এতে আমাদের অবশ্যই কিছু আচরণ এবং উচ্চারণে ভুল ছিল। আমরা শীর্ষ নেতারা কেন মনে করলাম সামরিক বাহিনী মাঠে নামলে সব ঠিক হয়ে যাবে। সমগ্র জনগোষ্ঠীকে ভোটের জন্য তৈরি করতে বলা হয়েছে, কিন্তু প্রতিরোধ করতে বলা হয়নি।
মান্না বলেন, যদি শুধু আওয়ামী লীগ আর পুলিশ নির্বাচন করতে নামতো বিজিবি চুপচাপ থাকতো, সেনাবাহিনী না থাকতো আন্দোলনের আরেকটা ঢেউ তৈরি হতো। আর সেই ঢেউ ছড়িয়ে পড়তো সারা দেশে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, রাস্তয় গিয়ে পাঁচ-সাতজন মানুষ কথা বলতে পারি- সেই অবস্থা আজকের বাংলাদেশে নেই। এই যে বাস্তবতা, সেটা আমাদের প্রত্যেককেই বুঝতে হবে। আমরা আইয়ুবের শাসন দেখেছি, ইয়াহিয়ার শাসন দেখেছি, এরশাদের শাসন দেখেছি। ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে চারজন শহীদকে আমরা মনে রেখেছি। এই চারজন জীবন দিয়ে সারা পাকিস্তান তোলপাড় করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে আমাদের স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই আন্দোলনে জীবন দিয়েছিলেন মাত্র চারজন। আইয়ুব খানের সময় রাজশাহীতে ড. জোহা, এরশাদের সময় নূর হোসেন ডা. মিলন এদের জীবন গিয়েছিল।
তিনি বলেন, যে বাস্তবতার কথা আমি বলছি সেটা হলো, বিগত ১০ বছরে বর্তমান স্বৈরশাসকের আমলে কত হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে? কাজেই আজকের সরকারের সঙ্গে পূর্ববর্তী শাসকদের যে একটি কোয়ালিটি ডিফারেন্স, গুণগত ব্যবধান আছে, সেটি আপনারা ভুলে যাবেন না।
ড. মঈন খান বলেন, এই সরকারকে কাবু করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। সরকারকে বিদায় দিতে হলে যে আন্দোলনের কথা আপনারা বলছেন- সেই আন্দোলন করতে হবে ঠান্ডা মাথায়। বাস্তবধর্মী পরিকল্পনার ভিত্তিতে। আজকে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায়, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ও নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।