Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের সত্যতা পায়নি আর্ন্তজাতিক মিডিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:৩৭ পিএম

পাকিস্তানের বালাকোটে মঙ্গলবারের বিমান অভিযানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে অন্তত ৩০০ জঙ্গি নিহত হওয়ার দাবি করেছিল ভারত। তবে পাকিস্তানের পাশাপাশি নামী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিও কার্যত সে দাবি স্বীকার করছে না। ইসলামাবাদ থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের এক দল সাংবাদিককে বুধবার বালাকোটের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুই পশ্চিমা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, বালাকোটে যেখানে ভারতীয় বিমান বোমা ফেলেছে, সেখানে হয়তো জঙ্গি ঘাঁটি ছিল। কিন্তু ২০০৫-এ ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের পরে বিদেশি ত্রাণ সংস্থাগুলি ওই অঞ্চলে যাতায়াত শুরু করে। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই জঙ্গিরা বালাকোটের এই এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও সরে যায়। সুতরাং ভারতীয় বোমায় ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম বলে তাদের ধারণা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, ‘ভারতীয় বিমান বোমা ফেলার পরে সে দেশে উৎসব পালন করা হচ্ছে। কিন্তু এই হামলায় বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হয় না। কারণ স্থানীয় গ্রামবাসীরা আমাদের এবং অন্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিকে জানিয়েছেন, রাতে চার-পাঁচটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ তারা শুনেছেন। তাতে কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। এক জন সামান্য জখমও হয়েছেন। কিন্তু ফাঁকা মাঠে বোমাগুলি পড়ায় বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
রয়টার্সের এই প্রতিবেদন লন্ডনের ‘দ্য গার্ডিয়ান’, ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’-সহ বেশ কিছু সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে। সকালেই ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছিলেন স্থানীয় যুবক মহম্মদ আজমল। রয়টার্সের প্রতিনিধিকে তিনি জানিয়েছেন, ‘বেশ কিছু গাছ পড়ে গিয়েছে। ফাঁকা মাঠে চারটি বড় বড় গর্তের দাগে প্রমাণ, বোমাগুলি ওখানেই পড়েছে।’
‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-ও জানিয়েছে, স্থানীয় থানার পুলিশ ও বাসিন্দারা নাম গোপনের শর্তে জানিয়েছেন, বালাকোট শহরের কয়েক কিলোমিটার বাইরে একটি পাহাড়ি এলাকায় ভারতীয় বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে মানুষ মারা যাওয়ার কোনও চিহ্ন তারা দেখেননি। ভারতীয় বিমান সম্ভবত নিশানা ভুল করেছে বলে মন্তব্য করেছে ‘গাল্ফ নিউজ’। তারা জানিয়েছে, ‘মাদ্রাসার থেকে এক কিলোমিটার দূরে পড়ে বোমা। তবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারেনি তারা। ফিদা হুসেইন শাহ নামে এক কৃষিজীবী বলেন বোমার কিছু অংশ পাইন গাছে আটকে গিয়েছিল। বাড়িতে এক ব্যক্তি ঘুমাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর জানলার কাচ ভেঙে যায়।’
দ্য গার্ডিয়ান বলছে, ‘এই অভিযানের পর ভারতে উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এটা স্পষ্ট নয় যে, যুদ্ধবিমান মারাত্মক কোনও ক্ষতি আদৌ হয়েছে কি না। পাকিস্তানের স্থানীয় মিডিয়া বলেছে, বালাকোটের বাসিন্দাদের কথায়, রাতের দিকে সেদিন তারা বেশ কিছু বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন, এর ফলে বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ