Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গোপসাগরে মেরিকালচার সামুদ্রিক খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা

কক্সবাজার থেকে বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৭:৩৩ পিএম | আপডেট : ৯:৪৩ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বাড়ানোর চিন্তা এখন আমাদের মাঝেও। বঙ্গোপসাগরে মেরিকালচার এর মাধ্যমে সামুদ্রিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে অপার সম্ভাবনা দেখছেন বিজ্ঞানীরা

প্রাথমিকভাবে সী-উইড বা সামুদ্রিক শৈবালের উৎপাদন ও বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাতকরণের সম্ভাব্যতা নিয়ে পৃথকভাবে গবেষণা চালিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট ও কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা।

বঙ্গোপসাগরে মেরিকালচার এর মাধ্যমে সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছেন এখন কক্সবাজারের মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট ও কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা।

খোলা সমুদ্রে ট্যাংক বসিয়ে বা অন্যকোন উপায়ে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সামুদ্রিক মৎস্যচাষ হল মেরিকালচার। এ পদ্ধতিতে চিংড়ি, ওয়েস্টার, সেলফিশ, ফিনফিশ ও সী-উইড বা সামুদ্রিক শৈবাল উৎপাদন করা হয় পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশে।

এরমধ্যে মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা প্রায় ৯০দিনে প্রতি মিটার নেটে সর্বোচ্চ ২৯ কেজি সামুদ্রিক শৈবাল উৎপাদনে সক্ষম হলেও কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন সর্বোচ্চ ৬ কেজি।

কক্সবাজারের নাজিরারটেক, ইনানী ও সেন্টমার্টিন উপকূলে সী-উইডের পরীক্ষামূলক চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মেরিকালচার এর সম্ভাব্যতা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে বলে জানাগেছে। এরমধ্যে সেন্টমার্টিনেই সবচেয়ে ভাল ফলাফল পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।

গত মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) এর যৌথ উদ্যোগে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ ফ্রুজেন ইকোনমি ডায়ালগ অন ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক’ শীর্ষক একটি কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু জানান, মেরিকালচার প্রজনন-প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে মৎস্য মন্ত্রণালয়।

ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতে মেরিকালচার লাভজনক হওয়ায় আমাদের দেশেও এই প্রজনন-প্রযুক্তি অর্জনের জন্য গবেষণা করা হবে।
উপকূলীয় ও বঙ্গোপসাগরের জলজসম্পদ উন্নয়নে গৃহীত প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার একটি মেগাপ্রকল্পের অধীনে মেরিকালচার নিয়ে শীঘ্রই গবেষণা শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ও প্রযুক্তি কেন্দ্র কক্সবাজারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ জুলফিকার আলী জানান, আমাদের সামুদ্রিক খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এই মেরিকালচারে একটি বড় ধরনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ইতিপূর্বে বিজ্ঞানীরা নানা সীমাবদ্ধতার কারণে এই সম্ভাবনাময় সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেনি। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান সরকার এ বিষয়ে নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন আমরা আশা করছি একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সামুদ্রিক খাদ্য
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ