নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শুরু থেকেই ঢাকা প্রিমিয়ার টি-২০ ক্রিকেট লিগ জমে উঠেছে বেশ। আগের দিন একটি ম্যাচ গড়ালো সুপার ওভারে, একই ম্যাচে মানিক খান করেন হ্যাটট্রিক। দ্বিতীয় দিনে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন শুভাগত হোম। দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটি করতে এই স্পিন অলরাউন্ডার খেলনে মাত্র ১৬ বল। তার রেকর্ড ইনিংসে ভর করেই প্রোতিযোগিতায় সবার আগে সেমিফাইনালে উঠেছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।
প্রথম ম্যাচে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের বিপক্ষে ১০ বলে করেছিলেন ৩২ রান। ঝড়ো ব্যাটিং অব্যাহত রাখলেন পরের ম্যাচেও। তবে এদিনের ঝড় আরো জোড়ালো এবং বিধ্বংসী। ১৮টি বল খেলে চারটি ৪ ও ছয়টি ৬ এ খেললেন অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংস। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ড মুমিনুল হকের কাছ থেকে কেড়ে নিলেন শুভাগত। তার চেয়ে ৩ বল বেশি খেলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুমিনুল। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ সিরিজে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুমিনুল।
মোহামেডানের বিপক্ষে শুভাগত হোম যখন ব্যাটিংয়ে নামেন শাইনপুকুরের দলীয় সংগ্রহ তখন ১৪.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৯ রান। শেষ চারে যেতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে এবং সেটা করতে হলে অবশ্যই দলকে বড় সংগ্রহ পাইয়ে দিতে হবে। এমন তারণা থেকেই ওমন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নাস্তানাবুদ করলেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। তাতে দুই কূলই রক্ষা হয়, দল পায় ১৯২ রানের পাহাড়সমান সংগ্রহ। যার উপর ভর করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২২ রানে হারিয়ে লক্ষ্য পূরণ করে তার দল।
ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমকেই সেই গল্পই শোনালেন শুভাগত, ‘আসলে চেষ্টা করি প্রতি ম্যাচেই রান করতে। গতকাল পরিস্থিতি ছিল এমন যে প্রতি বলে বলেই বাউন্ডারি দরকার ছিল। ট্রাই করেছিলাম, লাকি ছিলাম হয়ে গেছে। ব্যাটে বলে ভালো লাগছিল। আর রেকর্ডের চিন্তা তো মাঠে খেলার সময় থাকে না। আজকেও রান বাড়ানোর তাড়া ছিল। চার-পাঁচ ওভার ছিল বাকি। ট্রাই করছিলাম বড় শট খেলার, হয়ে গেছে।’
তবে এতে প্রমাণের কিছুই দেখছেন না শুভাগত। কিংবা কোনো বার্তাও তিনি দেননি। বরং টানা দুই ম্যাচ জয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠাকে দেখছেন দলগত পারফরম্যান্স হিসেবেই, ‘সেরকম প্রমাণের কিছু নাই। গত বছরও আমাদের দলে সেরকম বড় নাম ছিল না। কিন্তু টিম কম্বিনেশন ভালো ছিল। নতুন অনেক তরুণ আছে। সাব্বির, সুজন কঠোর পরিশ্রমী সবাই। সে হিসেবে দল হিসেবে ভালো করতে পারছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।