পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটের। কিন্তু এক যাত্রী ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে দ্রুত বিমানটিকে অবতরণ করাতে বাধ্য হন পাইলটরা। বিমানে থাকা ক্রুসহ সকল যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথম দেড় ঘন্টা সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন বিমান বাহিনীর একদল চৌকষ কর্মকর্তা ও সদস্যরা। পরে সকলের প্রচেষ্টায় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির দ্রুত সমাপ্তি ঘটানো সম্ভব হয়। ক্রু-যাত্রীদের সুরক্ষায় বিমান বাহিনীর এমন পদক্ষেপ ছিল প্রশংসনীয়।
বিমান বাহিনী সূত্র জানায়, ঘটনার পর চট্টগ্রামের টিসি টাওয়ারে কর্মরত বিমান বাহিনীর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে বিমান বাহিনী জহুরুল হকের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমানকে বিমান ছিনতাইয়ের প্রচেষ্টা অবহিত করা হয়। পরে একদল চৌকষ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন। বিমান বাহিনীর সদস্যরা অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে বিমানটির চারপাশে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে। ওই সময় ছিনতাই চেষ্টাকারীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সে কেবল প্রধানমন্ত্রীকে তার দাবির বিষয়টি জানাবে বলে বিমানবাহিনীসহ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানায়।
বিমান বাহিনী সূত্র আরো জানায়, যখন পুরো দেশবাসী অজানা আতঙ্কে দিশেহারা, ঠিক সে সময়ে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষিত একজন চৌকষ কর্মকর্তা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ককপিটের জানালা দিয়ে পাইলটদের বাইরে বের করে আনেন। তখন ছিনতাই চেষ্টাকারীর সাথে আলাপ চলতে থাকলে সে অন্য দুই জিম্মিকে ছেড়ে দিতে রাজী হয়। এ সময় ছিনতাইকারীকে বারবার আত্মসমর্পণের অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়ে সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল বিমানের ভেতরে প্রবেশ করে তাকে নিস্ক্রিয় করে।
চকবাজারের গভীর ট্রাজেডির ক্ষত শেষ না হতেই এমন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে অন্যান্য সংস্থার সাথে দ্রুততর সময়ে যুগোপযোগী, সাহসী ও পেশাদার পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি থেকে জাতিকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যে কোন মূল্যে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে সদা প্রস্তুত এবং সর্বদা সচেষ্ট ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।