ওয়েম্বলিতে চেলসিকে টাই ব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে লিগ কাপ অক্ষুণ্ণ রেখেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এ নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়বার লিগ কাপ জিতল সিটিজেনরা। সর্বোচ্চ আটবার জিতেছে লিভারপুল। চেলসির হয়ে লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছেন দাভিদ লুইস এবং জর্জিনহো। এর আগে নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ভাবে শেষ হওয়ার পর বাড়তি ৩০ মিনিটেও গোলের হয়নি কোনো গোল।
তবে ম্যাচে গোল করার মতো সহজ সুযোগ বেশি পেয়েছিল চেলসিই। তা থেকে গোল আদায় করে নিতে ব্যর্থ হয় স্ট্রাইকাররা। প্রথমার্ধে অবশ্য গোলের মতো সুযোগ এসেছিল খুব কমই। ২২তম মিনিটে বের্নার্দো সিলভার ক্রস থেকে দারুণভাবে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন আগুয়েরো। তবে তার ভলি লক্ষ্যে থাকেনি। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন এডেন হ্যাজার্ড। তবে ডিফেন্ডারদের কাটাতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আবারো দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন হ্যাজার্ড। কিন্তু শট নিতে দেরি করে ফেলেন তিনি। ৫৫ মিনিটে অবশ্য জালের দেখা পেয়েছিল সিটি। কিন্তু অফসাইডে ছিলেন আগুয়েরো। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল বাতিল করেন রেফারি। ৬৬তম মিনিটে আবারও পাল্টা আক্রমণে ক্ষিপ্র গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে কন্তেকে পাস দিয়েছিলেন হ্যাজার্ড। কিন্তু কন্তের শট লক্ষ্যে না থাকলে হতাশায় পোড়ে দলটি।
১০ মিনিট পর আবারো দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পেদ্রো রদ্রিগেজকে একেবারে ফাঁকায় পাস দেন হ্যাজার্ড। কিন্তু নিজে শট না নিয়ে ফিরতি পাস দিতে গিয়েই ভুল করে ফেলেন পেদ্রো। ১০৫ মিনিটে জর্জিনহোর নেওয়া শট লক্ষ্যে থাকনি। পাঁচ মিনিট পর গোলমুখের জটলায় আগুয়েরো শট নিতে পারলে গোল পেতে পারতো সিটি। ১১৭ মিনিটে আগুয়েরোর শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক কেপা। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাই ব্রেকারে।
জর্জিনিয়োর নেওয়া চেলসির প্রথম শটটি রুখে দেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসন। আর দাভিদ লুইসের চার নম্বর শট পোস্টে বাধা পায়। দলটির গোল তিনটি করেন সেসার আসপিলিকুয়েতা, এমেরসন ও আজার।
টাইব্রেকারে সিটির তৃতীয় শট নিতে আসা লেরয় সানের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক আরিসাবালাগা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ইলকাই গিনদোয়ান, সার্জিও আগুয়েরো, বের্নার্দো সিলভা ও রাহিম স্টার্লিংয়ের লক্ষ্যভেদে শিরোপা উল্লাসে মেতে ওঠে ম্যানচেস্টার সিটি।