Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বোরো সেচ নিয়ে শঙ্কা

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

পরিবেশের বিরূপ প্রভাব আর ফারাক্কার মরুকরণে নওগাঁর ৬ টি নদী শুকিয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে পানি শূন্য হয়ে পড়ায় বোরো সেচ নিয়ে শঙ্কিত নদীর তীরের হাজার হাজার কৃষক। অন্যদিকে দখল দূষণে চলছে প্রতিযোগিতা করে। পানিশূন্য হয়ে পড়ায় বেকার হয়ে পড়েছে নদী নির্ভর মৎস্যজীবিরা। এলাকাবাসী বলছে সংরক্ষণ ও পুন:খনন করা না হলে এ অঞ্চলের নদী গুলো হারিয়ে যাবে কালের গর্ভে।
নওগাঁয় রয়েছে ছোট বড় ৬টি নদী। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে আত্রাই, ছোট যমুনা, তুলসী গঙ্গা, নাগর, শিব, ফকিন্নি, পুনর্ভবা নামক এসব নদী শুকিয়ে পানি শূন্য হয়ে গেছে। এক সময় এসব নদী ছিল হাজার হাজার মানুষের জীবিকার উৎস। এখন বছরে মাত্র তিন থেকে চার মাস পানি থাকে এসব নদীতে এরপর ধু ধু বালুচরে পরিণত হয়। মরা নদীতে চলছে দখল ও দূষণের প্রতিযোগিতা। স্থানীয়রা বলছেন আগে এসব নদী অনেক উত্তাল ছিল।
নওগাঁর মৃত প্রায় ৬টি নদী দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে স¤প্রতি জেলা মানবাধিকার সংগঠনেরসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্মসূচী পালন করছে। জেলা মানবাধিকার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রন কুমার দেব বলেন, এখন যে অবস্থা আমাদের ছোট যমুনা এটাকে রক্ষা করতে সকলের উদ্যেগ নেওয়া দরকার ।
এদিকে অবৈধ দখল রোধ আর এসব মরা নদী রক্ষায় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে ও পৌর প্রশাসনের ব্যর্থ চেষ্টা নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। দখলদারের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ঠেকানো যাচ্ছেনা।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংসু কুমার সরকার বলেন নওগাঁর ৬টি নদী খনন কাজের প্রস্তাাবনা প্লানিং কমিশনে দেওয়া আছে। প্রায় ১০০ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং করার জন্য এ প্রকল্প ধরা হয়েছে। এদিকে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী কালিতলা সুপারি পট্টিসহ বেশ কিছু তীর সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ দখল চলছে। এসব নিয়ে একাধিক মামলা করেও এ দখল থামানো যাচ্ছে না বলে জানালেন নওগাঁ পৌর মেয়র নজমুল হক সনি।
শুকিয়ে যাওয়া নদীর দু’তীরে দখল রোধে জেলা প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। নওগাঁ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন নদী দখল দূষণ রোধ করতে প্রশাসন চেষ্টা আছে। পরিবেশের বিরুপ প্রভাব মুক্ত রাখতে জেলার নদী গুলোকে সচল করা গেলে শস্য সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে এ অঞ্চল।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বোরো সেচ নিয়ে শঙ্কা

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ