Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেমিক্যাল গোডাউন সরাতে এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছি: ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৭ পিএম

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে চকবাজার থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর জন্য সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা তালিকা তৈরি করছে। প্রথমে চকবাজার, পরবর্তীতে সমগ্র পুরান ঢাকা থেকেই কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে ফেলা হবে।

আজ শনিবার সকালে চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চুড়িহাট্টা এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। কাদের বলেন, এর আগে একাধিকবার পুরান ঢাকার রাসায়নিক পদার্থের গোডাউন সরানোর কথা হয়েছিলো। কিন্তু সম্বনয়হীনতার কারণে সম্ভব হয়নি। এবার সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহায়তায় এখানকার সব অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক গোডাউন নিরাপদ স্থানে সরানো হবে। এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছি।

মন্ত্রী বলেন, পুরান ঢাকার চকবাজার থেকে অবৈধ কেমিক্যাল কারখানা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এই অবৈধ রাসায়নিক কারখানা সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে। পুরান ঢাকার মজুদ করা সব কেমিক্যাল ও রাসায়নিক পদার্থ খুব দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরানো হবে।

তিনটি বিষয়ের প্রতি প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিহতদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং এখনও যাদের শনাক্ত করা যায়নি তাদের স্বজনদের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা। এর পরের কাজ কেমিক্যালের গোডাউন সরিয়ে নেওয়া।



 

Show all comments
  • Abul Basar Chowdhury ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:২৫ পিএম says : 0
    Age Ki Ghum Gesilen?
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:৩২ পিএম says : 0
    আমি আবার আমাদের সাধারন সম্পাদক কাদের সাহেবের কথা ‘সম্বনয়হীনতার কারনে’ ও ‘এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছি’ শুনে খুশী হয়েছি। এই আগুন লাগার প্রকৃত কারন সম্বনয়হীনতা এটাই সত্য কথা। কাজেই আমার বিচারে বলে সরকার এই ঘটনার জন্যে দায় দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। আমি অনেক বলেছি আমাদের দেশ ’৭৫ এর পর থেকে চালাচ্ছে ব্যাবসায়ীরা যেজন্যে তাদের প্রতিটি কাজই হচ্ছে অগ্রগণ্য। এরমানে হচ্ছে জনগণকে চুষে ব্যবসায়ীরা তাদের পকেট মোটা করেন আর সেটাই হচ্ছে আমাদের দেশে, তাই সকল আইনই হচ্ছে ব্যাবসায়িদের পক্ষে। আমি স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি নেত্রী হাসিনা কিভাবে তাঁর দলের ভিতর সংগ্রাম করে জনগণকে উপকৃত করার জন্যে নিরলস ও নির্ঘুম কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি এখন কাটা দিয়ে কাটা তুলছেন মানে তিনি এখন ব্যাবসায়িদেরকে দিয়েই দেশের উন্নয়নের কাজও করিয়ে নিচ্ছেন যদিও এতে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে তারপরও তিনি সেটা হজম করে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। এখন যদি তিনি সরকারই দপ্তরে দুর্নীতি বন্ধ করতে পারেন তাহলে ব্যাবসায়ি রাজনীতিবিদেরকে রাজনীতিতে প্রবেশ করা বন্ধ করে প্রকৃত রাজনীতিবিদরা চলে আসবে দেশ চালতে এটাও সত্য। ক্যামিকেল গোডাউন একযুগ আগেই পুরান টাউন থেকে সড়ানোর কথা এবং সরকারের সদিচ্ছা থাকলে সেটা সুসম্পন্ন হত এটাও সত্য। কিন্তু ব্যবসায়ীদেরকে বেকায়দায় পড়তে হয় এবং তাদের মুনাফা কমে যায় সেজন্যেই তাঁরা (ব্যাবসায়ি রাজনীতিবিদরা) এই গোডাউন সড়াতে দেয়নি। তাঁরা (ব্যাবসায়িরা) আন্তঃবিভাগের সম্বনয়ের উছিলায় সড়ানোর কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছিল যানাকি সরকারেরই দোষ। কাজেই সরকার চাইলেই এই দায় এড়াতে পারেন না এটাই আল্লাহ্‌র বিধান। এবার জননেত্রী নিজে বিষয়টা হাতে নিয়েছেন সেজন্যেই আজ সম্পাদক কাদের মিয়ার মুখে থেকে ব্যাবসায়িদের বিপক্ষে বড় বড় কথা বেড় হচ্ছে। আল্লাহ্‌ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সহ আমাকে এবং সবাইকে দীর্ঘায়ু ও সুসাস্থ দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ