পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সতীদাহ প্রথার কথা মনে আছে? হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিধবা নারীদের স্বামীর চিতায় সহমরণে (আত্মহুতি) দেওয়ার প্রথা! উপনিবেশিক শাসনামলে গভর্নর লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংকের শাসনকালে ১৮২৯ সালে রাজা রামমোহন রায় নতুন আইনের মাধ্যমে ওই বিভৎস প্রথা বন্ধ করেন। সেই সতীদাহ প্রথার মতো উল্টো ঘটনা ঘটেছে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাÐ ঘটনায়। এখানে প্রিয়তমা স্ত্রীর প্রতি নিখাদ ভালবাসা স্বামী প্রাণ দিয়েছেন। সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী বেঁচে না থাকলে আমার বেঁচে থেকে কি লাভ? এই চিন্তা থেকে স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে আগুনে ঝলসে প্রাণ হারিয়েছেন। চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের আগুনে পুড়ে যাওয়া ‘ওয়াহিদ ম্যানশন’ ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন গর্ভবতী মোসাম্মদ রিয়া ও তার স্বামী মো. রিফাত। আগুন লাগার পর অনেকেই জীবন বাঁচাতে ঘর থেকে নেমে গেছেন; কেউ ঝাপ দিয়ে নেমে আহত হন। অসুস্থ থাকার কারণে ভবন থেকে নামতে পারেননি স্ত্রী রিয়া; তাই স্ত্রীকে ঘরে রেখে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করেননি রিফাত। তিনি চেষ্টা করলে অন্যদের মতো হয়তো নিজের জীবন বাঁচাতে পারতেন। কিন্তু অসুস্থ স্ত্রীকে আগলে গর্ভের সন্তানসহ দু’জনেরই আগুনে পুড়ে করুণভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গের সামনে লাশ শনাক্ত করতে না পেরে অপেক্ষারত স্বজনরা এ তথ্য জানান।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, মোছাম্মদ রিয়া ও মো. রিফাত বন্ধু ছিলেন, প্রেম করে দুই বছর আগে বিয়ে করেন। তাদের বন্ধু আল-আকসার সাজিদ বলেন, আমার এই দুই বন্ধুর (রিয়া-রিফাত) কোনো খোঁজ-খবর পাচ্ছি না। চেহারা দেখে লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। রিয়া অসুস্থ ছিল অনেক। অন্তঃসত্ত¡া হওয়া ছাড়াও সে আরো জটিলতায় ভুগছিলো।
আল-আকসার সাজিদ বলেন, আগুন লাগার পর রিফাতের পরিবারের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। কিন্তু রিয়াকে নিয়ে নামতে পারছিল না। স্ত্রীকে রেখে সে নিজেও নামেনি; যার পরিণতি দু’জনই পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। রিয়া-রিফাতের এই পরিণতির কারণে ওদের পরিবারের কয়েকজন ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই তারাও এখানে আসতে পারছেন না। আমরাই ছবি-তথ্য নিয়ে এসেছি। তবে এখন পর্যন্ত লাশ শনাক্ত করতে পারিনি। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।