রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা উত্তর থেকে
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কুমিল্লার তিতাস উপজেলা। এখানে আগামী ২৮ মে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রথম দলীয় প্রতীকে তৃণমূলের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদের মনোনীত প্রার্থীদের পদচারণায় নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত জনপদে। গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের সমর্থক কর্মীদের নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে-বাড়ী বাড়ী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ভোটারদের মাঝে নির্বাচনী আমেজ বইছে। এদিকে এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা ভোটাররা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কারণ এরই মধ্যেই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে নির্বাচনী মাঠের দৃশ্যপট ততই বদলে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে ভোটের হিসাব-নিকাশ। এদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় ও ভোটে বিএনপির প্রার্থীরা কয়েক ধাপ এগিয়ে আছেন। কারণ, আধিপত্য বিস্তার ও নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ গত ৭ বৎসর ধরে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। এ সংঘর্ষে একাধিক দলীয় নেতা খুন হয়, আহত হত শতাধিক। যার কারণে সাধারণ ভোটাররা বিএনপির প্রার্থীদের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে, মুখ ফিরে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের প্রতি। কলাকান্দি ইউনিয়ন : এখানে আ’লীগ থেকে হাবিবুল্লাহ বাহার, বিএনপি থেকে মো: নুরু মিয়া ও জাতীয় পার্টি থেকে মো: মোবারক হোসেন সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা গভীর রাত পর্যন্ত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এখানে গত ৭ বৎসর ধরে সরকারী দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষে একাধিক দলীয় কর্মী খুন হয়। আহত হয় শতাধিক। ফলে সাধারণ ভোটাররা আওয়ামী লীগের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নেয়। যার কারণে এখানে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও বিএনপি প্রার্থী মো: নুরু মিয়া একজন ক্লিন ইমেজের মধ্যে। এলাকায় তার যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভিটিকান্দি : এখানেও আওয়ামী লীগের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ থেকে আবুল হোসেন মোল্লা, বিএনপি থেকে বিল্লাল হোসেন মোল্লা ও জাতীয় পার্টি থেকে মো: হযরত আলী সরকার। এখানে প্রচারণা ও ভোটে বিএনপি’র পাল্লাই ভারী। বিএনপি’র ভোটার সমর্থকরা বলছেন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন ইনশাআল্লাহ। জগতপুর : এখানে আওয়ামী লীগ থেকে মজিবুর রহমান, বিএনপি থেকে মুন্সি আমিরুল ইসলাম মানিক আর জাতীয় পার্টি থেকে মো: আব্দুর রহমান। এখানেও বিএনপির প্রার্থীর অবস্থা সুবিধাজনক। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি প্রার্থী বিজয় নিশ্চিত-এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কর্র্মী সমর্থকরা। নারান্দিয়া : এখানে আওয়ামী লীগ থেকে ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি থেকে মো: রমজান আলী প্রধান, জাতীয় পার্টি থেকে মো: কবির হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানেও বিএনপির প্রার্থী বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। প্রচার-প্রচারণায় তিনি অনেক দূর এগিয়ে আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।