ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
সংঘবদ্ধ মানুষকে বিনয়ী ও আত্মনির্ভশীলতা শিখায়। এরই প্রেক্ষিতে সমাজের সকল প্রকার অধিকার বাস্তবায়নে প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ হওয়া। সামাজিক অবকাঠামোগত দিক দিয়ে পর্যালোচনা করলেই দেখা যায়, মেধা ও শিক্ষা বিস্তারের ব্যাপক ভূমিকা দরকার। স্বেচ্ছাসেবী মননে আত্মনিয়োগের মাধ্যমেই একটি ঐক্যবদ্ধ সুন্দর সমাজ গড়ে উঠে। মেধাবী তরুণরাই সামাজের চাবিকাঠি। এরই পর্যালোচনায় মেধা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে ১৫ নভেম্বর ২০১২ বায়েজীদ থানাধীন হাশেমীনগর, কুলগাঁও ফকিরাবাদ এলাকায় জিনিয়াস স্টুডেন্ট ফোরম গঠিত হয়।
জিনিয়াস স্টুডেন্ট ফোরামের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সামাজিক উদ্দেশ্যকে উন্নয়নে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে প্রযুক্তির উদ্দীপনায় রাঙ্গীয়ে তুলতে সামাজিক প্রথা আবশ্যক যা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। একজন ছাত্রকে মেধা, আদর্শ, ধর্মপরায়ণ ও নৈতিকতার সমন্বয় সাধন করে, একজন সুনাগরিক হিসেবে তৈরি করে সামাজিক উন্নয়নে ও মানবসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করা। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আমাদের জিনিয়াস স্টুডেন্ট ফোরাম গড়ে উঠা। আগামী প্রজন্মকে একটি সুষ্ঠু সমাজ উপহার দেওয়া এরই লক্ষ্যে ফোরামের কার্যক্রমের মধ্যে যা অত্যন্ত সফলতার সহিত সম্পাদন করে আসছি তার মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি; কারণ অধিকাংশ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা তার নিজের ব্লাড গ্রুপ জানেন না, তাই আমরা এই সিদ্ধান্তে গৃহীত হলাম ছাত্রছাত্রীদের আমরা রক্তের গ্রুপ জানালে সে রক্ত দিতে আগ্রহী হবে। কারণ রক্তের বন্ধন ভ্রাত্বিত্তের বন্ধন। হয়তো বা এক ব্যাগ রক্তের বিনিময়ে একটি মায়ের জীবন পাবে। স্বেচ্ছায় রক্তদানের কারণে আজ একটি জিএসএফ পরিবার সৃষ্টি হয়েছে যার মাধ্যমে আমরা ২৩০০ জনকে ব্লাড ডোনেট করেছি।
রক্ত দেয়ার উপকারিতা সম্বন্ধেও আমরা অনেক সেমিনার করেছি যা আজ আমাদের ফলপ্রসূ। আমরা প্রায় ৩০০০ জন ছাত্রছাত্রীকে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প করেছি এবং ৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প করেছি। যেসব শিক্ষ প্রতিষ্ঠানে আমরা ক্যাম্প করেছি অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই আমাদের জিএসএফের মেম্বার হয়ে সামাজিকসমূহ কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন। আমাদের নিজেদের টিফিনের টাকা দিয়ে আমরা ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প আজও করে আসছি। কারো থেকে কোন প্রকার আর্থিক সাহায্যও আমরা নিইনি। স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা সবার থেকে আলাদা মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছি এই কারণে যে, বাংলাদেশে প্রায় ব্লাড ডোনেট সংগঠনগুলো ব্লাড ব্যাংকের সহযোগিতায় ব্লাড প্রদান হয়ে তাকে যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও রক্ত নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই আমরা সরাসরি রোগীর নিকট গিয়ে ব্লাড ডোনেট করে আসি। তাই সবাই আমাদের জিএসএফ পরিবারকে স্বচ্ছতা মনে করে ও আমাদের সাথে আকাত্মতা প্রকাশ করে।
ষ মুহাম্মদ আলতাফ হোসেন খান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।