Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর সোয়া কিলোমিটার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:১০ এএম

পদ্মা সেতুতে বসেছে অষ্টম স্প্যান। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় সেতুর ৩৫ এবং ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর অষ্টম স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়েছে। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো সেতুর ১২শ মিটার বা সোয়া এক কিলোমিটার।
এর আগে সকালে ঘন কুয়াশার কারণে স্প্যানটি উঠাতে খানিকটা দেরি হয়। পরে বেলা পৌনে ১১টার দিকে শুরু হয় স্প্যান তোলার কাজ। এরপর বাকি থাকবে আরো ৩৩ টি স্প্যান।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে মাওয়া থেকে স্প্যানটি ৩ হাজার ৬০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ক্রেনে তুলে জাজিরা প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। জাজিরা প্রান্তে সেতুর শেষ পিলার ৪২ থেকে ৩৬ নম্বর পিলারের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬টি স্প্যান বসানো হয়েছে। আর মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর পিলারে একটি স্প্যান বসানো হয়েছে।
চার বছর আগে বছর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো গত বছরের ডিসেম্বরে। তবে প্রকৃতিসহ নানা প্রতিকূলতায় ২০২০ সালের শেষের দিকে যান চলাচলের জন্য খুলবে পদ্মা সেতু। এর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে পানির ওপর ও নিচের পাইল বসানো পুরোপুরি শেষ হয়েছে ১৮৮টির। শুধুমাত্র পাইলের নিচের অংশ বসানো শেষ হয়েছে ১১টির। আর ২২০টি পাইল বানানো শেষ হয়েছে। এছাড়া পিয়ারের পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ হয়েছে ১৫টি। অন্যদিকে, স্প্যান বসানো হয়েছে ৭টি, বাকি আছে ৩৪টি। মোট ৪১টি স্প্যান এবং ৪২ খুঁটিতে পূর্ণরুপ পাবে ৬ কিলোমিটারের বেশি লম্বা পদ্মা সেতু। এরমধ্যে যেসব পিয়ারে ৬টি করে পাইল বসছে সেগুলো হলো- পি২-পি৫, পি১৩-পি১৪, পি১৬-পি১৮, পি২০-পি২৩, পি৩৭-পি-৪১, এবং যেসব পিয়ারে ৭টি করে পাইল বসছে সেগুলো হলো- পি৬-পি১২, পি১৫, পি১৯, পি২৪-পি৩৬। তবে এখনও স্কিন গ্রাউটেডে ৭৭টি পাইল বসানোর কাজ বাকি রয়েছে।
বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে। তৎকালীন তত্ত¡াবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। প্রকল্পের বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। মূল সেতু নির্মাণের দায়িত্বে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিংকনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। দুই প্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।



 

Show all comments
  • ash ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:৩৫ এএম says : 0
    PLAN TA BORING !! SHOB MILIE 8 TA PILLER ER WPORE PURO SHETUKE JULIE RAKHA JETO ! MONE HOY KHOROCH KOM PORTO, TIME KOM LAGTO R DEKTEO SHUNDOR HOTO
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দৃশ্যমান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ