পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীতে জনপ্রিয় পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্তে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকা-ের চারদিন পরও খুনি চক্রের কাউকে পাকড়াও করা যায়নি। হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটনেও কোন গতি হয়নি।
পুলিশ এখনও পুরোপুরি অন্ধকারে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা নগর গোয়েন্দা পুলিশকে সহযোগিতা করছে সিআইডি, পিবিআইসহ পুলিশের বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত বিভাগ। এরপরও তদন্তে গতি আসছে না। হত্যাকা-ের নেপথ্যে কারা এবং কেন এই খুন সে বিষয়েও স্পষ্ট কোন ধারণা পায়নি পুলিশ।
এদিকে হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে আবু নসর গুন্নু নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য। তিনি জানান, সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ এলাকা থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সক্রিয় কর্মী আবু নসর গুন্নুকে গ্রেপ্তার করে সিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বাবার নাম মফজল আহমদ।
দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, আবু নসর গুন্নু বিদেশে চলে গিয়েছিলেন। ৫ বছর বিদেশে থেকে আসার পর তিনি মাজারে ছদ্মবেশে থাকতেন। ওই মাজারের খাদেম হিসাবে দেখাশুনা করছিল। সীতাকুন্ড থানায় তার বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যার দুটি মামলা রয়েছে।
মিতু হত্যার সময় সিসিটিভি ফুটেজে যে তিনজনকে দেখা গেছে গুন্নু তাদের একজন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, মোটর সাইকেলে সে ছিল না। তবে ওই এলাকায় উপস্থিত থেকে সে খুনিদের সহযোগিতা করেছে বলে আমরা সন্দেহ করছি। তিনি জানান, মিতু হত্যায় শুধু তিনজন নয়, আরো অনেকেই অংশ নিয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের পেছনে আরেকটি কালো রঙের মাইক্রোবাস ছিল।
তিনি জানান, গত ৮ মে মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ মোটরসাইকেলের মালিক শহীদুল্লাহ বাবুর্চিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গুন্নুকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া সাংবাদিকদের জানান, ফরহাদাবাদে মুসাবিয়া দরবার শরিফ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষের বিরোধ চলছিল। একটি পক্ষে ছেলে এক পরিবারের বড় জামাতা ছিল। আর অন্যপক্ষে ছিল ছোট জামাতা। বড় জামাতের পক্ষে ছিলেন আবু নসর। এর পরিপ্রেক্ষিতে নসরকে হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ত করা হতে পারে বলে তার ধারণা। ইদ্রিস মিয়া আরো জানান, আবু নসর বিগত ইউপি নির্বাচনে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের কোরআনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
গত রোববার সকাল পৌনে ৭টার দিকে নগরীর ব্যস্ততম এলাকা জিইসি মোড়ে কোপানোর পর গুলি করে হত্যা করা হয় চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। এ সময় পাশেই ছিল তাদের ছেলে মাহির। তাকে স্কুলবাসে তুলে দিতেই বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মাহমুদা।
এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বাদী হয়ে তিন মোটরসাইকেল আরোহীসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে পুলিশ অনেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের মধ্যে ৪ জনকে আটকের কথা প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেন। পরে সিএমপির কমিশনার মো. ইকবাল বাহারও তাদের আটকের কথা স্বীকার করেন। আটকের একদিন পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আলোচিত মামলাটি তদন্ত করছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট তদন্তে সহযোগিতা করছে। তবে হত্যাকা-ের চার দিন পরও তদন্তে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।