বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনায় চাঞ্চল্যকর আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২ জনকে খালাস দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। বুধবার দুপুরে পাবনার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক রুস্তম আলী জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার আতাইকুলা থানার কুমারগারী বিশ্বাস পাড়ার আব্দুল লতিফের পুত্র আব্দুস সালাম ওরফে খোকন, একই গ্রামের আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের পুত্র শাহিন বিশ্বাস, আড়িয়াডাঙ্গি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের পুত্র মাসুদ রানা, সুজানগর থানার তাঁতীবন্ধ গ্রামের আজিজ মোল্লার পুত্র শুকুর আলী মোল্লা ও একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র সাইফুল ইসলাম ওরফে কাঞ্চন। খালাস প্রাপ্তরা হলেন, সুজানগর থানার ভবানীপুরের সলিম উদ্দিনের পুত্র সেলিম উদ্দিন ও তাছির উদ্দিন মিয়ার পুত্র আলতাফ হোসেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, বিগত ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল রাতে আতাইকুলা থানার কুমারগারী গ্রামের আবু সাঈদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার বন্ধুরা। পরের দিন নিহতের ভাই রবিউল বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে আতাইকুলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আতাইকুলা থানার তৎকালীন এসআই আখেঁর আলী তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বুধবার দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক রুস্তম আলী ৫ জনকে যাবজ্জীবন ও এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর ৬ মাস কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন। অপর দুই জনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় ২ জন আসামী আদালতে হাজির ছিলেন। মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আইয়ুব খান খোকন আর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সালমা আক্তার শিলু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।