নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করে পেস-স্যুয়িংয়ে লুটোপুটি খেয়েছিল টপ অর্ডার। এবার পরে ব্যাট করে হলো আরও করুণ দশা। সিরিজ হার হয়েছে আগের ম্যাচেই। মিশন ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। তবে তারচেয়ে বেশি ছিল নিউজিল্যান্ডে মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস জড়ো করা। হয়নি না কিছুই। এবার আগের দুই ম্যাচে না খেলা টিম সাউদি একাই সর্বনাশ করে ছেড়েছেন বাংলাদেশের। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার আরেকটি হতাশার দিনে প্রাপ্তি কেবল সাব্বির রহমানের সেঞ্চুরি।
বুধবার ডানেডিনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ৩৩০ রানের জবাবে বাংলাদেশ থেমেছে ২৪২ রানে। ৮৯ রানের লড়াইবিহীন আরেকটি হারে সিরিজে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। নিউ জিল্যান্ড হয়ে রইল বাংলাদেশের দুঃস্বপ্নের ঠিকানা।
মোহাম্মদ মিঠুন নেই। ব্যাটিংয়ের দায়িত্বটুকু আজও নিতে পারেনি টপ অর্ডার। পারেন নি তামিম (০), লিটন (১), সৌম্য (০)। চেষ্টা করেও পারেন নি এই ম্যাচে অনিশ্চয়তায় থাকা মুশফিকও। পাজোরে বাথা নিয়েই নেমেছিলেন, তবে লম্বা করতে পারেন নি ইনিংস, থেমেছেন ১৭ রানে। কিছুটা লড়াইয়ের আভাস ছিল মাহমুদউল্লার ব্যাটেও, সেটিও আলোর মুখ দেখেনি। বাজে শটে ফিরেছেন ১৬ রানে ক্যাচ দিয়ে।
৩৩১ রানের পাহাড়সম টার্গেট। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেই পরিস্থিতিতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ভীষণ চাপের মুখে তাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন সাব্বির রহমান। এখন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন। ৫৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ফিফটি পাওয়ার পর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হবার আগে খেলেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ১০২। সাইফুদ্দিনের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান।
কেবল কলিন মানরো ছাড়া অবদান রেখেছেন দলের আর সবাই। শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে টানলেন হেনরি নিকোলাস। নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানে পৌঁছানোর দিন রস টেইলর খেললেন দায়িত্ব নিয়ে। ইনিংসের সর্বোচ্চ ৬৯ রানের পথে টেইলর উঠে গেছেন দেশের হয়ে ওয়ানডে রানের চূড়ায়। তাদের পর ফিফটি পেলেন এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা টম ল্যাথামও। তাদের দেওয়া ভিতের উপর ঝড় তুলেন জিমি নিশাম, শেষটায় তান্ডব চালিয়ে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম দলকে নিয়ে গেলেন চূড়ায়।
ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে আগে ব্যাট করে ৩৩০ রান করে ৬ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবার হারাতে তাই কঠিন চ্যালেঞ্জই পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশকে।
প্রথম দুই ম্যাচে আগে আগে ব্যাট করে ভুগতে হয়েছিল। শুরুর এক ঘন্টাতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে টস জিতে তাই আগে ফিল্ডিং বেছে পরিস্থিতি বদলাতে চেয়েছিলেন মাশরাফি। তিনি নিজে আর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন করেন আঁটসাঁটও বোলিং, মাঝের ওভারে রান আটকে দেওয়ার কাজ করেন মিরাজও।
তবে বাকি দুই পেসার রুবেল হোসেন আর মুস্তাফিজুর রহমানের দেদারসে রান বিলানোর দিনে ভুগেছে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ তো ১০ ওভারে ৯৩ রান দিয়ে কাটিয়েছেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে দিন। রুবেল ৯ ওভারে দেন ৬৪ রান।
ইনিংসের প্রথম ২৫ ওভারে কিউইদের রান ছিল ১২০। পরের ২৫ ওভারে এসেছে ২১০।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড : ৫০ ওভারে ৩৩০/৬ (গাপটিল ২৯, মনরো ৮, নিকোলাস ৬৪ , টেইলর ৬৯, ল্যাথাম ৫৯ , নিশাম ৩৭, গ্র্যান্ডহোম ৩৭, স্যান্টনার ১৬ ; মাশরাফি ১/৫১, মোস্তাফিজ ২/৯২, রুবেল ১/৬৪, সাইফুদ্দিন ১/৪৮, মিরাজ ১/৪৩, মাহমুদউল্লাহ ০/২৮)।
বাংলাদেশ : ৪৭.২ ওভারে ২৪২ (তামিম ০, লিটন ১, সৌম্য ০, মুশফিক ১৭, মাহমুদউল্লাহ ১৬, সাব্বির ১০২* , সাইফুদ্দিন ৪৪, মাশরাফি ২, মিরাজ ৩৭, রুবেল ৩, মোস্তাফিজ ০*; সাউদি ৬/৬৫ , বোল্ট ২/৩৭, গ্র্যান্ডহোম ১/১৮, ফার্গুসেন ০/৫০, স্যান্টনার০/৪৬, নিশাম ০/২৪)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ৮৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : টিম সাউদি।
সিরিজ : নিউজিল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য সিরিজ : মার্টিন গাপটিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।