পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবনার ঐহিত্যবাহী ইছামতি নদী দখল-দূষণে নিপতিত। পদ্মা নদী থেকে ইছামতি নদীর উৎপত্তি। পাবনা শহর মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ইছামতি নদী পাবনার জেলার হুরাসাগর নদীতে পড়েছে। ইছামতি নদী হুরাসাগর নদীর উপ-নদী। পদ্মা ও আত্রাই নদী থেকে পানি প্রবাহ নিয়ে ইছামতি নদী হুরাসাগরে নিয়ে যেতো।
একদিকে ভারতের ফারক্কা ব্যারেজ এবং অপরদিকে স্থানীয় দখলদার-দূষণকারীদের কবলে পড়ে ইছামতি নদী প্রায় মরতে বসেছে। ইছামতি নদী তার প্রকৃত রূপ হারিয়ে পাবনা শহরের ৬ কিলোমিটারজুড়ে প্রায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে। ইছামতি নদী প্রবাহমান থাকাকালে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথকে বুকে ধারণ করে নিয়ে গিয়েছে শাহজাদপুরের কাচারী বাড়ীতে।
রাজধানী ঢাকার সাথে পাবনা ও এর আশপাশের জেলার নদীভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল। শহরের খেয়াখাটে লঞ্চ-স্টিমার, এবং রূপকথা সড়কের শেষ মাথায় বড় বড় গয়নার নৌকা ভিড়ত। সেই দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। ধীরে নদী হারিয়ে ফেলেছে তার গভীরতা ও পানির প্রবাহ। শহরের প্রায় অধিকাংশ আর্বজনা, বর্জ্য এই নদীতে ফেলায় শহরের বায়ু দূষণ ও গন্ধ ছড়িয়ে নাগরিক জীবনকে বিষময় করে তুলেছে।
এছাড়া নদীখেকোদের দখল থেমে নেই। পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী জোরপূর্বক দখল করে বাড়ি ঘর বানানো হচ্ছে। নদী খনন করে রক্ষার দাবিতে শহরের নাগরিকরা একট্টা হয়েছেন।
ইছামতি নদী প্রবাহমান করতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পাবনা পৌরসভাকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। নদী খননে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেয়া মেগা প্রজেক্টের মধ্যে ইছামতি নদী অর্ন্তভূক্ত হবে বলে নাগরিকরা আশা করছেন। পাবনার জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন ইছামতি নদী প্রবাহমান করতে নাগরিকদের সাথে সহমত প্রকাশ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।