পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় কিছুটা স্তিমিত হয়ে এসেছে উত্তেজনা। মামলার আসামীদের মধ্যে ভীতি কাজ করলেও আতঙ্ক পুরোপুরি কাটেনি। অপরদিকে সন্ধ্যার পর অপিরিচিত লোকদের আনাগোনা গতকালই দেখা গেছে।
বিজিবির মহাপরিচালক আসার পরে কিছুটা শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। তিনি বিজিবির তদন্ত কমিটি গঠন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলার পরও চাপা ভীতিমুক্ত হতে পারছেন না স্থানীয়রা। গতকাল রাতে স্থানীয়দের কয়েকজন জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি বিজিবির গুলিতে ৩ জন নিহতের পর গতকালই একাধিক অপরিচিত লোককে দেখা গেছে। মাগরিবের নামাজের পর হঠাৎ করেই ৭ থেকে ৮ জন অপরিচিত লোক এলাকায় ঘোরাফেরা করে।
সূত্র জানায়, ওই লোকদের স্থানীয় কারো সাথে কথা বলতে দেখা যায়নি। তাদের মাথার চুল ছোট এবং পরনে ছিল প্যান্ট-শার্ট। তবে রাত ৮টার পর অপিরিচিত লোকদের দেখা যায়নি। হঠাৎ করে এসে ঘণ্টা দুয়েক পর চলে গেছে।
এদিকে বয়স্ক পুরুষরা গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে অজ্ঞাত আসামি হিসাবে গ্রেফতার আতঙ্কে যুবকরা গ্রামছাড়া রয়েছেন। বয়স্ক পুরুষরা ফিরে আসায় হরিপুরের লোকজনদের মনে শান্ত পরিবেশ বিরাজ করবে এমন ধারণা। কারণ সবাই চাইছে একটা সুষ্ঠু সমাধান। সবাই চায় সবার ঘর ভরে উঠুক আবার আগের মতো। কান্না নয়, শান্তি ফিরে আসুক প্রতি ঘরে ঘরে।
যদিও তদন্ত কমিটি একদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছে। তবে তদন্ত কার্যক্রম পরবর্তীতে কবে শুরু হবে কমিটির পরক্ষ থেকে এখনও জানানো হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত কমিটি খবর জানাবে বললেও গতকাল পর্যন্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন কবে কমিটির লোকজন কথা বলতে আসবে।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা কিছুটা সাহায্য এবং সুষ্ঠু তদন্তের আশায় সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। সূত্র জানায়, এ ব্যাপারে বিজিবি মহাপরিচালকও কিছুটা নমনীয়। ২ জন নিহত হয়েছিল যে গ্রামে সেই রুহিয়ার মানিকখরি গ্রামের আলেক মাস্টারের সাথে কথা বলে জানা যায়, পরিবেশ কিছুটা শান্ত। সবাই চায় একটা সুষ্ঠু সমাধান। বিজিবি পুলিশ প্রশাসনসহ প্রত্যেকেরই চেষ্টা সীমান্তবাসী ও সীমান্তরক্ষীর মধ্যে আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।