বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : চার দিকে নৌকা মার্কার জয়জয়কারের মধ্যেও রায়পুরার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার হাফিজুর রহমান ও তার ৫ শতাধিক সমর্থক বাড়ীঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গত ৭ মে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ‘ঢাকার নৌকা রায়পুরায় ঠাঁই নেই’ বলে সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপির সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করে সীল মেরে নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে। বাড়ীঘর ছাড়া করে দিয়েছে নৌকা মার্কার সমর্থক ও ভোটকর্মীদেরকে। গতকাল শনিবার বিকেলে সরকার হাফিজুর রহমান তার বাসভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব বক্তব্য পেশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ৩০ বছরের আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী হয়ে দল ও রাজু এমপির জন্য ৩০ কোটি টাকার শ্রম দিয়েও তিনি এমপি রাজু ও তার সমর্থকদের আনুকূল্য পাননি। বাঁশগাড়ীর দাঙ্গাবাজ নেতা সিরাজুল হককে দলে ভিড়িয়ে তাকে মনোনয়ন দিয়ে ৩০ বছরের শ্রমকে পÐ শ্রমে পরিণত করে দিয়েছেন। তিনি দুঃখ করে বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ব্যাপক সমর্থন থাকা সত্তে¡¡ও এমপি রাজু তাকে মনোনয়ন দেননি। তিনি বাধ্য হয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির আশ্রয় নিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মনোনয়ন দেন। এতে এমপি রাজু ও তার সমর্থকরা সরকার হাফিজুর রহমানের প্রতি ক্ষিপ্ত হন। তারা প্রকাশ্যে বলে বেড়ান, ঢাকার নৌকা রায়পুরায় চলবে না। এরপরও তিনি ব্যাপক বাধা-বিপত্তির মুখে নির্বাচন চালিয়ে যান। নির্বাচনের দিন এমপি রাজুর মনোনীত প্রার্থী বিএনপি নেতা সিরাজুল হক নির্বাচনের দিন তার এজেন্টদেরকে বের করে দিয়ে একচেটিয়া সীল মেরে তার নৌকার বিজয় ছিনিয়ে নেয়। এই অবস্থায় তিনি লিখিতভাবে ফলাফল বাতিল চেয়ে বেলা ১২টার পূর্বেই প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট আবেদন পেশ করেন। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার তার আবেদনকে কোন গুরুত্ব দেননি। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের নিকট পুনঃনির্বাচনের দাবী জানানো হয়েছে। এদিকে নির্বাচনের পর নৌকা মার্কার সমর্থকদের উপর চলছে অকথ্য নির্যাতন। এসব নির্যাতনের ঘটনা থানা পুলিশকে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে এলাকার জনগন ও ক্ষতিগ্রস্তরা আইনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। বাঁশগাড়ীর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। যে কোন সময়ই বড় ধরনের দাঙ্গাসহ খুনাখুনির আশংকা করছে শান্তিপ্রিয় জনগণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।