Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসছে দ্রুতগতির বুলেট ও ইলেক্ট্রিক ট্রেন

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম মাত্র ৫৭ মিনিটে : সংসদে রেলমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, দেশে প্রথমবারের মতো বুলেট ট্রেন ও ইলেক্ট্রিক ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। বুলেট ট্রেন চালু হলে মাত্র ৫৭ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে পারবেন যাত্রীরা। এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার জাতীয়ং সংসদে পৃথক দুটি প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সংসদকে এ তথ্য জানান। সরকারি দলের এমপি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ঢাকা- চট্টগ্রাম ভায়া কুমিল্লা/ লাকসাম দ্রুত গতির রেলপথ নির্মানের জন্য সম্ভাবতা সমীক্ষা এবং বিশদ ডিজাইন শীর্ষক একটি সমীক্ষা প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ১৮ মার্চ সমীক্ষা প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। গত বছরের ৩১ মে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। বর্তমানে সমীক্ষা চলমান। এটি সম্পন্ন হলে প্রথমবারের মতো ঢাকা- চট্টগ্রামের মধ্যে দেশ দ্রুত গতির বুলেট ট্রেন চালু হবে। এটি সমাপ্ত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মাত্র ৫৭ মিনিট এবং বিরতি দিয়ে ৬৯ মিনিটে যাওয়া সম্ভব হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী। এছাড়া ঢাকা-খুলনা ওঈশ্বরদী-রাজশাহী রুটে এবং জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ ও জয়দেবপুর-টাঙ্গাইলে এলিভেটেড রেলয়ে নির্মানের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। রেলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, দেশে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালুর জন্য রেলওয়ের গ্রহিত মহাপরিকল্পণার আওতায় টঙ্গি-চট্টগ্রাম সেকশনে ইলেকট্রিক ট্রাকশন প্রবর্তনের জন্য সম্ভ্যাবতা সমীক্ষা, নারায়নগঞ্জ- জয়দেবপুর, আখাউড়া- সিলেট, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী-খুলনা এবং ঈশ্বরদী-পার্বতীপুর সেকশনে ইলেকট্রিক ট্রাকশন প্রবর্তনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
দিদারুল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী সুজন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১ লাখ আট হাজার ৬১৬ কোটি ব্যয়ে ৮১ টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬৪ টি প্রকল্প শেষ হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে আরএডিপিতে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৪৫ টি বিনিয়োগ ও ৩টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী বলেন, রেলওয়েকে যুগোপযোগী গণপরিবহনে রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে একটি মাস্টার প্লাণ তৈরি করা হয়েছে। ২০ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পটি ৪টি ফেজে ২০৩০ সালের জুন মাসে শেষ হবে। এ জন্য ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৪ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৩৫ টি প্রকল্প অন্তর্ভূক্ত করা ছিল। এ মাস্টারপ্লাণটি হালনাগাদ করা হয়েছে এবং গত বছরের ২৯ জানুয়ারী তা সরকার অনুমোদন দিয়েছে। নতুন অনুমোদিত এ মহাপরিকল্পণায় ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০৪৫ সালের জুন পর্যন্ত ৬ টি ফেজে বাস্তবায়নের জন্য ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি ব্যয়ে মোট ২৩০ টি প্রকল্প অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
এক প্রশ্নকর্তার অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, দেশের সব জেলাকে রেলনেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। এরই ধারা বাহিকতায় বরিশাল জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যে ভাঙা হতে বরিশাল হয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দর পর্যন্তরেলপথ নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশদ নকশা প্রণয়নসহ সম্ভাবতা সমীক্ষা প্রস্তাব গত ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর পরিকল্পণা মন্ত্রীর অনুমোদন পায়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে গত বছরের ১৯ জুন তারিখে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে সমীক্ষা চলছে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৪০ শতাংশ। সম্ভাবতা সমীক্ষা শেষে প্রস্তাবিত এলাইনমেন্ট ও বিশদ নকশা অনুযায়ী বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহন করে বরিশাল জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে এবং তা পায়রা বন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। ২০২৫ সাল নাগাদ ঢাকা হতে পদ্মা সেতু হয়ে বরিশালের পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপিত হবে।



 

Show all comments
  • Roman ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:৩৮ এএম says : 0
    It's a very good news for us
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেলমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ