পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জামায়াতের কোনো নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আজ সোমবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমÐলীর বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার উপযুক্ত সময় কিনা এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, জামায়াত ইসলামী নিষেদ্ধে আমরা সব সময়ই প্রস্তুত। তবে জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি নিয়ে যেহেতু আদালতে মামলা রয়েছে, সে কারণে আদালতের সিদ্ধান্তের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না। এ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতের কোনো নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।
যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী নতুন নামে মাঠে আসার পরিকল্পনা করছে- বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, নতুন বোতলে পুরাতন পানীয়’ এমন যদি হয়, নাম পরিবর্তন করবে কিন্তু আদর্শ একই এবং অটুট থাকবে তাহলে সেটা পরিবর্তন কি? নাম পরিবর্তন করলে কিন্তু নীতি আদর্শ পরিবর্তন করলেন না, তাহলে পরিবর্তন কি হল?। এটাকে পরিবর্তন বলা চলে না।
তিনি আরো জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলো খুবই কম। তারপরও সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ২ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর বাকিদের বিষয়েও খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে। এমন কেউ অভিযুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে কেউ যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্য এমন অভিযোগ পেলে, তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণ পেলে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বাকি তৃতীয় দফায় ২২ ফেব্রæয়ারি, চতুর্থ দফায় ২৩ ফেব্রæয়ারি স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। তবে পঞ্চম দফা নির্বাচন যেহেতু রমজানের ঈদের পর, তাই সিদ্ধান্তও পরে নেওয়া হবে।
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল প্রার্থী পাবে কিভাবে। কারণ ছাত্রদলের সবাই আদু ভাই। তারা প্রার্থী পাবে কিভাবে। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সংগঠিনক সম্পাদক বিএম মোজ্জাম্মেল হক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক আবুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।