Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মরণফাঁদে তিন সেতু

চুয়াডাঙ্গা থেকে কামাল উদ্দীন জোয়ার্দ্দার | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সাতটি সেতুর মধ্যে মাথাভাঙা নদীর ওপর সেতু, গলাইদড়ি সেতু ও হেমায়েতপুর বরিক সেতু মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শতশত ভারীযানবাহন চলাচল করছে এ সেতুর উপর দিয়ে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের মাথাভাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত সেতুর দুই পাশে রেলিং কয়েক জায়গায় ভেঙে রড বেরিয়ে যাওয়ার পর মেরামত করা হলেও ঝুঁকিপূর্ন চিহিৃত করা হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইব্রাহিমপুর মেহেরুন শিশুপার্ক, শীবনগর ডিসি ইকোপার্ক, আটকবর নামক স্থানে রয়েছে আট শহীদের স্মৃতিস্তম্ভ কমপ্লেক্স ভবন ও ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্থান এই সেতুটি একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম।

এদিকে, দর্শনা-মুজিবনগর সড়কে মাথাভাঙা নদীর উপর নির্মিত গলাইদড়ি সেতুটি বছর দেড়েক আগে পাটাতন ও নীচের গার্ডারের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়ায় কয়েকবার মেরামত করেও অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে পারপার হচ্ছে শত শত ছোটবড় যানবাহনসহ হাজার হাজার মানুষ। সেতুটি প্রশস্ততা কম হওয়ায় একটি বাস, ট্রাক বা অন্য কোন গাড়ি উঠলে অপরদিক থেকে আসা যানবাহনকে সামনের রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বর্তমানে এটির উপর দিয়ে প্রতিদিন ৫-৬টি পরিবহন সংস্থার প্রায় অর্ধ শতাধিক ঢাকাগামী কোচ, আঞ্চলিক রুটের বাস, পণ্যাবহী ট্রাকসহ শত শত যানবাহন ও পথচারীরা চলাচল করে থাকে।
অপর দিকে, দীর্ঘদিনের পুরানো হোগলডাঙ্গা-ভগিরতপুর সড়কের হেমায়েতপুর বারিক খালি নামক স্থানের সেতুটি ও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেতুটির ডান পাশের রেলিং এর ঢালাই নিচের অংশ ভেঙে পড়ে রডের উপর দাড়িয়ে আছে। পাশের রেলিং উভয় মুখে ভেঙে পড়েছে তাছাড়াও উপরের অংশে নানা খানাখন্দে ভরে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এর ওপর দিয়ে প্রতিদিন শতশত ভারী যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করে। এটিও যেকোন সময় ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

দামুড়হুদা উপ-সহকারী প্রকৌশলী খালিদ হাসান জানান, দামুড়হুদা মাথাভাঙা নদীর উপর নির্মিত সেতুটির স্থলে ফুটপথসহ ডাবল লেনের সেতু নির্মানের সমস্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে শুধুমাত্র উদ্বোধনের অপেক্ষায় পালা। তাছাড়াও প্রায় প্রতিটি সেতু চলাচলের উপযোগী করে মেরামত করেছি। নতুন করে সেতু নির্মাণের বরার্দ্দ আসলে দাপে দাপে তৈরি করার পরিকল্পনা আছে আমাদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মরণফাঁদে তিন সেতু

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ