পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দাষ স্বীকার করে টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭০টি তাজা কার্তুজসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে গতকাল শনিবার সকালে আত্মসমর্পণ করেন তারা। এদের মধ্যে রয়েছে এমপি বদির ৩ ভাই, ভাগিনা, ফুফাতো ভাইসহ ৭ জন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আত্মসমর্পণকারীদের সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, মাদক ব্যবসা একটি ঘৃণিত ব্যবসা। মাদক সেবন ও এর ব্যবসা ইসলাম ধর্মে কঠোরভাবে নিষেধ রয়েছে। এই ঘৃণ্য কাজ থেকে ফিরে আসায় তিনি আত্মসমর্পণকারীদের সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, যারা এখনো আত্মসমর্পণ করেনি তাদের রেহাই নেই। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় কক্সবাজার এখন দেশের একটি অন্যতম উন্নত এলাকা। দুনিয়ার মানুষ এখানে কর্মসংস্থানে আসছেন। কক্সবাজারের মানুষের মাদক ব্যবসার মত ঘৃণ্য ব্যবসা করার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে আত্মসমর্পণকারীদের পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করবে সরকার। তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সামাজিকভাবেও মাদক প্রতিরোধে ভ‚মিকা রাখার আহ্বান জানান উপস্থিত সবাইকে।
তিনি বলেন, যে ইয়াবা সেবন করলে এত ক্ষতি হচ্ছে সে ইয়াবা কেন আমরা প্রতিরোধ করব না? অবশ্যই ইয়াবা প্রতিরোধ করবো। আমরা থমকে যেতে চাই না। এতে কেউ বাধা দিলে আমরা তাকে প্রতিহত করবো।
তিনি বলেন, আমরা দেশের উন্নয়ন তরান্বিত করতে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। ইয়াবা এখন দেশকে গ্রাস করেছে। তাই যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আইন করে ইয়াবা প্রতিরোধের উদ্যোগ নিয়েছি। একই সাথে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করতে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। তাই বলতে চাই- ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কোনোভাবেই নিস্তার দেয়া হবে না। কেউ রেহাই পাবে না। সবাইকে ধরা দিতেই হবে। যারা আত্মসমর্পণ করেনি তাদের ব্যাপারে তথ্য নেয়া হচ্ছে। তাদের খোঁজে আমাদের বাহিনী তৎপর রয়েছে। সবাইকে ধরা দিতেই হবে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রধান আলোচক ছিলেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।