Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইয়াবা ব্যবসায়ী ও পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ৪

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সীতাকুণ্ডে আসামী আটক করতে গিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও পুলিশের সাথে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ৪ এসআই এতে আহত হয়। ঘটনার পর পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম সেখানে গিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী অহিদুল আলম চৌধুরীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় পুলিশের সাথে অহিদের সহযোগিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার বার আউলিয়া ফুলতলা নামক রাস্তার মাথায় যুবলীগ নেতা অহিদুল আলমসহ কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াবা বিক্রির উদ্দেশ্যে সেখানে অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে এসআই হারুনুর রশিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে অহিদকে ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশের ব্যবহৃত মাইক্রোতে তুলে নেয়। এ ঘটনার জেরে অহিদের অন্যান্য সহযোগিরা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাপ পরা অহিদকে ছিনিয়ে নেয় এবং রাতে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় এসআই মো. সোহেল, হারুজ্জামান, সোহাগ ও হাসান তারেক আহত হয়।
পরে পুলিশের একাধিক টিম বারআউলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাজার সংলগ্ন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইদ্রিছের অফিস ও বিভিন্ন বাড়ি থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়। আটকৃত অহিদুল ছাড়া অন্যরা হল একই এলাকার বাসিন্দা সাদেক(২৫) মো. সাহাব উদ্দিন (৪২), নুর উদ্দিন (৩১), নয়ন (২৪) এবং মিরসরাই পূর্ব বালিয়াদি গ্রামের মৃত ইসমাইলের পুত্র মো. আলাউদ্দিন (৩৮)।
এবিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইন্সপেক্টর অপারেশন) মো. জাব্বারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আটককৃত অহিদুল তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। সম্প্রতি ইয়াবাসহ কয়েকবার সে আটক হয়ে জেলও খেটেছে। ঘটনার দিন রাতে আবারো তাকে ১৩৬ পিস ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশের একটি টিম। অহিদুলকে আটক করে পুলিশের ব্যবহৃত গাড়িতে করে থানায় নিয়ে আসাকালে তার সহযোগিরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। ফলে অহিদুল আলম ও তার ৫ সহযোগিকে আটক করা হয়। অহিদ উপজেলা দক্ষিণ সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মৃত এখলাছ নুর চৌধুরীর পুত্র এবং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। এদিকে সরকারি কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় সুনির্র্দিষ্ট ১০ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৬০জনকে আসামী করা হয়েছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হামলায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে উত্তর জেলা আওয়ীমীলীগের সদস্য মো. ইদ্রিস সাংবাদিকদের বলেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অহিদুলকে সীতাকুণ্ড থানার দারোগা আমির হামজা ও হারুনুর রশিদ ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাকালে আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় বাসিন্দারা দেখে ফেলেন। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অহিদুলকে পুলিশ থেকে ছিনিয়ে নেয় এবং পুলিশের হ্যান্ডকাপ পরা অহিদুলসহ অন্যান্যরা পরে আমার অফিসে এসে হাজির হয়। বিষয়টি আমি থানার দায়িত্বরত ওসিকে জানিয়েছি। ওসি আসার পূর্বে এসআই হারুনুর রশিদসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য একাধিক রাউন্ড গুলি করে এলাকায় চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে অহিদুলসহ আরো কয়েকজনকে আমার অফিস থেকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইয়াবা ব্যবসায়ী ও পুলিশের সংঘর্ষ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ